রংপুরের পীরগঞ্জে সিনজেনটা কোম্পানীর প্যাকেটজাত ভুট্টার বীজ বপন করে ৩ চাষীর কপাল পুড়েছে। বপনের ৫ মাস পর প্রায় ২ একর জমিতে ভুট্টার কলায় কোন দানা হয়নি। উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়নে সিনজেনটার এক রিটেইলারের কাছ থেকে ওই বীজ ক্রয় করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের ভুট্টা চাষী আরিফুল ইসলাম (৩৫) স্থানীয় পত্নীচড়া বাজার থেকে সিনজেনটার রিটেইলার (খুচরা বিক্রেতা) মেসার্স সৈকত ট্রেডার্স থেকে এনএইচ-৭৭২০ নামে ১ কেজি করে ৫ প্যাকেট বীজ এনে জমিতে বপন করেন। বপনের ৫ মাস পরও ভুট্টায় একাধিক কলা (ভুট্টা মোচা) আসলেও দানা আসেনি। মুলতঃ প্রতিটি গাছে একটি করে কলা আসার কথা।
আরিফুলেরর মত চাষী আহাদ আলীর ৪০ শতক এবং কামরুজ্জামানের ৬০ শতক জমিতে একই কোম্পানীর ভুট্টা চাষে ওই ঘটনা ঘটেছে। আরিফ জানায়, ৮০ শতকে বপন খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু কলা এসেছে বেশী, দানা হয়নি। ফলন হলে প্রায় দেড়শ মন ভুট্টা ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারতাম। এখন শুধু লোকসানই গুনতে হচ্ছে।
অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্থ চাষী কামরুজ্জামান জানান, স্থানীয় বীজ বিক্রেতা শিমুলবাড়ীর রব্বানীর কাছে সিনজেনটার ভুট্টা বীজ কিনে বপন করেছি। কিন্তু ফলন হয়নি। এ ব্যাপারে পত্নীচড়া বাজারের সিনজেনটার রিটেইলার মেসার্স সৈকত ট্রেডার্স এর প্রোঃ মিজানুর রহামন বলেন, ওই কৃষক (আরিফ) আমার কাছ থেকে ভুট্টা বীজ নিয়ে গেছে। তার ফলন হয়নি বলে সে আমাকে অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে আমাদের কোম্পানীর এসপিও শিলু মিয়াকে অবগত করেছি।
সিনজেনটা কোম্পানীর পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর এলাকার এসপিও শিলু মিয়া (তিনি প্রকৃত নাম বলতে অস্বীকার করেন) বলেন, বিভিন্ন কারণে ফলন নাও হতে পারে। তবে বীজ গজানো পর্যন্ত আমরা দায়-দায়িত্ব বহন করি।
জেএম/রাতদিন