নীলফামারীর সৈয়দপুরে সড়ক ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে শ্রেণি কক্ষ ঘেঁষে দোকান ঘর তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার হাজারীহাট – তারাগঞ্জ উপজেলা পাকা সড়ক ও হাজারীহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের জানালা ঘেঁষে ওই দোকান ঘর তৈরি করা হয়েছে। জানালা খুলতে না পারায় বদ্ধ শ্রেণীকক্ষে চলছে পাঠদান।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহষ্পতিবার, ৭ জুলাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২ নম্বর কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট এলাকায় হাজারীহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম বিদ্যালয়টিতে লেখাপড়ার মনোরম পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে। কারণ এ বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে একটি বিরাট খেলার মাঠ। আর পূর্ব প্রান্তে রয়েছে একটি সুবিশাল পুকুর।
বিদ্যালয় ভবনের পশ্চিম প্রান্তে হাজারীহাটের বিভিন্ন দোকানপাটও রয়েছে। বিদ্যালয়টির উত্তর দিকে হাজারীহাট – তারাগঞ্জহাট উপজেলা পাকা সড়ক। সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতি ও রোববার হাট অন্যান্যদিন বাজার বসে এখানে। ফলে হাট বাজারের কারণে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার কোন রকম ব্যাঘাত ঘটে না।
সম্প্রতি কিছু দখলদার হাজারীহাট – তারাগঞ্জহাট উপজেলা পাকা সড়কের এবং বিদ্যালয়ের উত্তর দিকের জায়গা দখল করে দোকান ঘর তৈরি করে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছেন। এদের মধ্যে মাহাবুব, কৃষক রায় ও বুদারু অন্যতম। সর্বশেষ সাম্প্রতিক সময়ে অহেদুল নামের আরো একজন দখলদার একটি দোকান ঘর তৈরি করেছেন।
ফলে বিদ্যালয় ভবনের শ্রেণি কক্ষের উত্তরের জানালা একেবারে বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে করে বিদ্যালয় ভবনের শ্রেণিকক্ষের জানালা দিয়ে প্রাকৃতিক আলো বাতাস প্রবেশে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। আর বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের অভাবে প্রাত্যহিক পাঠদান কার্যক্রমের ব্যাঘাত হচ্ছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আবার মাঝে মধ্যে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম হুসাইন অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।