নীলফামারীর সৈয়দপুরে সোহেল হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বখাটেদের মারপিটের শিকার তাঁরকাটা কারখানার শ্রমিক মুহাম্মদ সোহেল গত ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরন করেন।
শনিবার, ৩০ নভেম্বর শহরের শহীদ সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন করা হয়।
এলাকাবাসীর ব্যানারে দুপুর ১২ টায় শুরু হয়ে বেলা ১ টা পর্যন্ত এই মানববন্ধন চলে। মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা সোহেল হত্যাকারীদের বিচার ও শাস্তির দাবি সম্বলিত শ্লোগান, প্লাকার্ড ও ব্যানার বহন করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেন।
এতে নিহত সোহেলের বাবা মো. সাইদুল ইসলাম ও মা মোছা. সামা এবং সোহেলের স্ত্রী মোছা. ছানা তাঁর দেড় বছরের শিশু সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও এলাকাবাসী অংশ নেন।
এসময় নিহত সোহেলের বাবা মো. সাইদুল অভিযোগ করে বলেন, সৈয়দপুর থানা পুলিশ সোহেল হত্যা মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করলেও অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে তেমন কোন তৎপরতা দেখাচ্ছেন না। এজাহারনামীয় আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উপরন্তু তাঁকেসহ তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
এতে তাঁর পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, গবীর মানুষ হওয়ায় সৈয়দপুর থানা পুলিশ তার কথায় কর্ণপাত করছেন না। এসময় তিনি তাঁর ছেলে সোহেল হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, চুরি যাওয়া বাইসাইকেল খুঁজতে গিয়ে শহরের খেঁজুরবাগ মুন্সিপাড়ার কয়েকজন বখাটে যুবক সোহেলকে (২৫) বেদম মারপিট করেন। এতে সে গুরুতর আহত হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ নভেম্বর ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখপূর্বক ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি মামলা করেন।
এর পর পুলিশ মামলার এজাহারনামীয় এক আসামীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
জেএম/রাতদিন