লালমনিহাটের পাটগ্রামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বুধবার, ০২ মার্চ দুপুরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নে এই সভা অনুিষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়নের ককোয়াবাড়ি এলাকায় সীমান্তের ৮৬৮ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার হতে ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ সীমান্ত সংক্রান্ত ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। গেল সপ্তাহে এধরনের একটি দ্বিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় ভারতের মেখলিগঞ্জে।
বুধবারের সভায় কোচবিহার ১৬৯ রাণীনগর ব্যাটালিয়ন ও বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের কর্মকর্তাগন অংশ নেন।
ঘন্টাব্যাপি অনুষ্ঠিত এ সভায় সীমান্ত সংক্রান্ত অপরাধ প্রবণতা কমানোর পাশাপাশি ভারতীয় বিএসএফের বাংলাদেশের সীমানায় অবৈধ প্রবেশ বন্ধে সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৬৯ বিএসএফ রাণীনগর ব্যাটালিয়নের কমাড্যান্ট শ্রী দিওয়াকর কুমার। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদ।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঘন্টাব্যাপী লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তের ৮৪২ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাব পিলার হতে ২৫০ গজ ভারতের ভেতরে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার অভ্যন্তরে চ্যাংরাবান্ধায় সীমান্ত সংক্রান্ত ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উভয় সভায় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে জোর দাবী করা হয়। এছাড়াও সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার রোধ, যে কোনো ধরণের হত্যা বন্ধ ও সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উভয় দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনাসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় ১৬৯ বিএসএফ রাণীনগর ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কমাড্যান্ট শ্রী ইশ নারায়ন মিশরা ও ৫ বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডারসহ বিএসএফের ৭ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের পক্ষে ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ নুরুদ্দিন এবং ও ৫ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডারসহ ৭ জন কর্মকর্তা সভায় অংশ নেন।