দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর চুরির উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আজ শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রংপুর র্যাব-১৩ এর সদর দফতরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস।
তিনি জানান, মামলার আসামী আসাদুল ইসলামকে শুক্রবার ভোরে হিলির কালীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দিনভর অভিযান চালিয়ে রংমিস্ত্রি নবিরুল ও সান্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে তারা চুরির উদ্দেশ্যে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাসায় যায়। আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে।
রেজা আহমেদ ফেরদৌস বলেন, ঘটনার নেপথ্যে আরও কোনো কারণ আছে কিনা তা জানতে সময় একটু লাগবে। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ না মেলায় যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
র্যাব জানায়, হামলার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রংমিস্ত্রি নবিরুল বলে দাবি করেছে আসাদুল।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
পরে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
হামলার ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন।
এবি/রাতদিন