উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। সরেজমিন তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্ত কমিটি।
আজ রোববার, ২৩ আগস্ট ওই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা ধরণের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে সেখান থেকে বদলি করে তদন্ত শুরু হয়। এর আগে নুরুন্নবী সরকার লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, গত ৯ আগস্ট দুপুরে সুন্দরগঞ্জ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ত্রাণ) মো. আনিছুর রহমান। তদন্তের সময় অভিযুক্ত পিআইও নুরুন্নবী সরকার ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ইদ্রীস আলী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তদন্তকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পিআইও নুরুন্নবী সরকারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। সরেজমিন তদন্তে পিআইওর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল প্রসিডিওর মেনে চাকরি থেকে বরখাস্তসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান জানান, পিআইও নুরুন্নবী সরকারের বিরুদ্ধে বছরের ৩৬৫ দিন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের নামে ভ্রমণ ভাতা তোলার বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেছেন তিনি। দীর্ঘসময় তদন্তকালে সকল প্রকার বিল-ভাউচার ও নথিপত্র যাচাই করাসহ অভিযুক্ত পিআইও নুরুন্নবী এবং হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কাছে লিখিত বক্তব্যে জমা নেওয়া হয়।
এ ছাড়া অস্বাভাবিক ও ভুয়া ভ্রমণ বিল অনুমোদনে জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা ইদ্রিস আলীর বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা হয়। তদন্তের তথ্য-প্রমাণসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছেন তিনি।
এবি/রাতদিন