কালীগঞ্জে আ’লীগের আরও ৭ নেতা বহিষ্কার, ‘দলীয় শৃংখলা’ ভংগের অভিযোগ

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সহযোগিতা করায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিসহ ৭ নেতাকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

আজ বুধবার, ২৪ নভেম্বর বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মতিয়ার রহমান। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিস্কৃতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুজ্জামান আহমেদ রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী সাজেদা বেগমের নিবাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহনের অভিযোগ আনা হয়।

এছাড়াও উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বিভিন্ন বিদ্রোহী প্রার্থীকে সহযোগিতা করায় জেলা ও স্থানীয় ৭ নেতাকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

বহিস্কৃত মাহবুবুজ্জামান আহমেদ ছাড়াও ওই উপজেলার মদাতি ইউুনয়নের মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আলী প্রামাণিক, চলবলার ৫নং সভাপতি খবির উদ্দিন, গোড়ল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধানণ সম্পাদক  নুরুল আমিন, কাকিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক, কাকিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরাজুল ইসলাম এই তালিকায় রয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মতিয়ার রহমান জানান, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহাবুজ্জামান আহমেদের স্ত্রীকে বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করছেন। এছাড়া অন্যান্যরা নিজ এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়া ও তাদের পক্ষে কাজ করায় দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।