ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি কমে গেলেও তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে তীরবর্তি মানুষরা। বসতবাড়িসহ প্রায় তিনশতাধিক একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এদিকে কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকতাদের সাথে তীব্র ভাঙন বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন,বরাদ্দ না থাকায় ভাঙনরোধে কিছুই করার নেই।
রোববার,৩ নভেম্বর সরেজমিন উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের নয়াদাড়া, কামারটারী, পালের ভিটা গিয়ে দেখা যায় ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষজন জানান, গত ক’মাসে ভাঙনকবলিত প্রায় ৩ কিলোমিটারব্যাপী স্থানে শতাধিক বসতবাড়ি ও কয়েক শ একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এ পরিস্থিতিতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিতে পাউবো কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড তিন কিলোমিটার ভাঙনে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে মাত্র ৬০ মিটার জায়গায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেন। কিন্তু সম্প্রতি পাউবোর ওই ডাম্পিং করা স্থানের পাশেই নতুন করে ফের ভাঙন শুরু হলে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বসতবাড়িসহ আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে যায়।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে এত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে ওয়াপদা বাঁধসহ হাতিয়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে চলে যাবে। উলিপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ৩ কিলোমিটার ভাঙনে ৬০ মিটার জায়গায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। পরবর্তীতে ৬০০ মিটারের টেন্ডার গৃহীত হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।
এনএ/রাতদিন