গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আদিবাসী পল্লীতে হত্যা-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের সাথে জড়িতদের বিচার দাবিতে রংপুরের ডিআইজি কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এর আগে রংপুর নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ‘সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি’।
বুধবার, ১৭ জুলাই ডিআইজি’র কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফিলিমন বাস্কে ও সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম প্রধান, আদিবাসী নেতা রবীন্দ্র নাথ সরেন, রাজনীতিবিদ শাহাদাত হোসেন, অশোক সরকার, গৌতম রায়, আব্দুল কুদ্দুস, পলাশ কান্তি নাগ প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর মহিমাগন্জ সুগার মিল কর্তৃপক্ষ বেআইনীভাবে আদিবাসীদের বসতবাড়ি, ফসলাদী, মৎস্য খামার, বিদ্যালয় ইত্যাদি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের মাধ্যমে উচ্ছেদের নামে আদিবাসীদের উপর হামলা-অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গুলিবর্ষণ করে। গুলি ও হামলায় নিহত হয় শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু এবং গুরুত্বর আহত হয় অনেকে।
এরপর মিল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ আদিবাসীদের নামে বেশ কয়েকটি হয়রানীমূলক মামলা করে। ক্ষতিগ্রস্থ আদিবাসীদের পক্ষ থেকে ৩৩ জনকে আসামী করে মামলা করা হলেও দীর্ঘ ৩ বছরেও পিবিআই তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেনি।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আদিবাসী পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকান্ডে জড়িত মূল অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে। এখনও নিরীহ আদিবাসীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
দ্রুত মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের পর আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিলের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে।
এনএইচ/রাতদিন