উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী উপজেলা পাটগ্রামে তীব্র শীত জেকে বসেছে বেশ কিছুদিন ধরে। আর আজ শুক্রবার সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হিমেল হাওয়ায় এখানকার দরিদ্র খেটে খাওয়া ও অসহায় মানুষের কষ্ট বেড়েছে দ্বিগুন।
প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশার কারনে এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে পারছে না। অন্যদিকে বেশি টাকা দিয়ে শীতের কাপড়ও কিনতে পারছে না। ফলে পাটগ্রামের বিভিন্ন বাজারে পুরাতন কাপড়ের দোকান গুলোতে প্রচুর পরিমানে পুরাতন শীতের কাপড় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে শীতের প্রকোপে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
শীতের কারণে কিছু কিছু সবজি ক্ষেতে পঁচন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, এবছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।
পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর সরকারটারী গ্রামের কৃষক নুর মোহাম্মদ বাউরাল্লি ও নবীনগর রেলগেট এলাকার কৃষক মো. বাবুল হোসেন বলেন, ‘ঠান্ডার জইন্যে জমিত ঠিকমতো কাজে করির পাইছেন না।’
প্রচন্ড শীতের কারণে শীতকালিন সব্জি বিশেষত আলু, টমেটো ও বাঁধা কপিতে পঁচন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গাফ্ফার বলেন, ‘প্রচন্ড শীতে অন্যান্য সবজির তুলনায় আলু ক্ষেতে ছত্রাক সবচেয়ে বেশী আক্রমন করে। সবজির যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে জন্য আমরা কৃষকদের স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।
শীতে যাতে দরিদ্র মানুষেরা কষ্ট না পায় এজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে পাটগ্রাম উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, ‘শীত তীব্র হলে পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী আরো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।’
জেএম/রাতদিন