দহগ্রামে গুলিতে নিহত বাবুলের মরদেহ ১৪ দিন পর ফেরত দিল বিএসএফ

অবশেষে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে গুলিতে নিহতের ১৪ দিন পর এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। নিহত যুবকের নাম বাবুল মিয়া (২৫)। বাবুলের লাশ ফেরত এলেও একই সময়ে গুলিবিদ্ধ সাইফুলকে ফেরত পায়নি তার পরিবার।

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে বিজিবির উপস্থিতিতে নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশের কাছে বাবুল মিয়ার মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

পরে পুলিশ বাবুল মিয়ার মরদেহ তার বাবা নূর মোহাম্মদের কাছে দেন বলে জানান ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ।

তিনি জানান, মরদেহ সেখান থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ছেলের মরদেহ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবুলের বাবা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৫১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ইসাহাক মণ্ডল, ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ, পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদলি লতিফ খান, দহগ্রাম পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবু হানিফ। ভারতীয় ৫৪ বিএসএফের উপঅধিনায়ক এসওয়াই খেঙ্গারু, কোচবিহার জেলার কুচলিবাড়ি থানার সার্কেল কর্মকর্তা পুরান রায় ও থানা পুলিশের কর্মকর্তা সুবাস চন্দ্র রায়।

উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সীমান্ত এলাকার কালীগঞ্জ গ্রামের বাবলু মিয়া ও ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (১৪) গরুর ঘাস কাটতে বের হয় বাড়ি থেকে। বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে ঘাস কাটার সময় তাদের গুলি করে ভারতীয় বিএসএফ।

গুলিতে বাবুল মিয়া নিহত ও সাইফুল আহত হন। এ সময় হতাহতদের নিয়ে যায় বিএসএফ। সেই থেকে নিহত বাবুলের মরদেহ ও আহত সাইফুলকে ফেরত চায় এলাকাবাসীসহ তাদের পরিবার। এমন দাবিতে তারা এলাকায় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে।

দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার ১৪ দিন পর বাবুলের লাশ ফেরত এলেও সাইফুলকে ফেরত পায়নি তার পরিবার।

আহত সাইফুলের বাবা গোলজার হোসেন বলেন, ‘বাবুলের লাশ ফেরত পেয়েছে তার পরিবার। এখন সাইফুলকে ফেরতের দাবি জানাচ্ছি।

কোচবিহার জেলার কুচলিবাড়ি থানার সার্কেল কর্মকর্তা পুরান রায় জানান, আটক সাইফুল ইসলামকে শিশু শোধনাগারে রাখা হয়েছে।’

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে উভয় দেশের পতাকা বৈঠকের পর সাইফুলকে হস্তান্তর করা হবে।

এনএইচ/রাতদিন