পাটগ্রামে ১ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত, রংপুরে ২৪ ঘন্টায় আরও ২২

রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে চার জেলার আরও ২২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের মধ্যে শুধু রংপুর জেলারই রয়েছেন ১৭ জন। এছাড়া কুড়িগ্রামে ২, লালমনিরহাটে ২ এবং গাইবান্ধার জেলার ১ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মে বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম নুরুন্নবী লাইজু।

তিনি জানান, রমেকের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের পিসিআর ল্যাবে ১৮৮টি নমুনার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এতে রংপুরে অঞ্চলের চার জেলার ২২ জনের নমুনায় করোনা শনাক্তের পজেটিভ ফল এসেছে। এদের মধ্যে সাতজন পুলিশ ও তিন আনসার সদস্যসহ একজন চিকিৎসক রয়েছেন।

আক্রান্তরা হলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ আনসার সদস্য, রংপুর পুলিশ লাইন্সের ৬ পুলিশ সদস্য, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ১ পুলিশ সদস্য, মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক আয়া (৩২), মিঠাপুকুর উপজেলার এক কন্যা শিশু (৪), রংপুর নগরীর গোমস্তপাড়ার এক যুবক (২০), নগরীর আদর্শপাড়ার একই পরিবারের এক যুবতী (২৬), এক কিশোরী (১৪), গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ির এক নারী (৪১), এক যুবক (২৯), কোলকোন্দ ইউনিয়নের এক পুরুষ (৩২) ।

এ নিয়ে রংপুর জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৪ জনে।

এছাড়াও আক্রান্তের মধ্যে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক রয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত ওই চিকিৎসকের বয়স ত্রিশ বছর। লালমনিরহাটরে আর একজন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিও চিকিৎসাসেবার সাথে জড়িত। বায়ান্ন বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সদর হাসপাতালের এক কর্মচারী।

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার এক পুরুষ (৩১) ও এক যুবতী (২৩) এবং গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার একজন আনসার সদস্য রয়েছে।

এদিকে রংপুরে আজকের ১৭ জনসহ পুরো জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৪ জনে। এর মধ্যে ৩৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাকিরা চিকিৎসকের পরামর্শে বাসা বাড়িতে এবং ১৯ জন রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রংপুরে মোট আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ, আনসার, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী।

জেএম/রাতদিন