লালমনিরহাটের পাটগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময়ে বেতন-বোনাস না পেয়ে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেছে। একই সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ও ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। আজ মঙ্গলবার, ৪ মে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। ঘোষিত গ্রেড অনুযায়ী দেশের অন্যান্য উপজেলার মতো পাটগ্রামেও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার মাধ্যমে সফটওয়্যারে পে ফিক্সিশনে তথ্য হাল নাগাদ করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট জমা দেন শিক্ষকরা। তবে আজও হালনাগাদ করা হয়নি সেই তথ্য।
শিক্ষকদের অভিযোগ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দাবিকৃত উৎকোচ না দেয়ায় দুই কার্যালয়ের মধ্যে ফাইল চালাচালি করে শিক্ষকদের হয়রানি করা হয়। তথ্য হালনাগাদ না হওয়ায় ঈদকে সামনে রেখে শত শত শিক্ষকের বেতন ও বোনাস উত্তোলণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এতে শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে ঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপর শিক্ষকরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ।
পরে উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন এবং বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের নিয়ে ঘন্টাব্যাপী যৌথ আলোচনাসভা করেন। সভা শেষে ঈদের আগেই শিক্ষকদের বেতন, বোনাস উত্তোলণের বিষয়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে কাজ করতে বলেন তিনি।
ছাট-পানবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিম প্রামানিক লিবন বলেন, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শিক্ষকদের তথ্য হালনাগাদ না করে হয়রানি করে আসছেন। তাই ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা তাঁকে অবরুদ্ধ করে। ,
২ নং ভোটহাট খাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন , ‘হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয়না। শিক্ষকদের শুধু না হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মানুষকে মানুষ মনে করেনা । তিনি টাকাকে প্রাধাণ্য দেন’।
পাটগ্রাম উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের এখানে কোনো টাকা পয়সা নেয়া হয় না। শিক্ষকদের এনআইডি দিয়ে টেস্ট করেছি। আইবাস ম্যানেজমেন্টের সমস্যা আছে। চেষ্টা করা হচ্ছে সমস্যা সমাধানের।’
এইচএ/রাতদিন