লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় দুই রোহিঙ্গা শরনার্থীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনগন। অবৈধভাবে সীমান্ত পথে ভারত হয়ে নেপালে যাওয়ার পথে তাদেরকে আটক করা হয়।
শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে দহগ্রাম সীমান্ত থেকে আটক হন তারা।
আটকরা হলেন, মায়ানমারের মন্ডু জেলার কুরহালি থানার নয়াপাড়া গ্রামের ইলিয়াছ হোসেনের ছেলে আনস (২২) ও একই এলাকার ওসমান গণির মেয়ে সেতুফা বেগম (১৮)। তাঁরা দুজন মামাত ফুফাত ভাই বোন।
পাটগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালে ওই দুজন বাংলাদেশে আসে। তারা কক্সবাজারের টেকনাফ মুন্সিপাড়া ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকত। গত শনিবার অবৈধভাবে সীমান্ত পথে ভারত হয়ে নেপালে ওই নারী তাঁর স্বামীর কাছে যেতে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে আসে।
ওই দিন দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক হন তাঁরা। বিএসএফ তাদেরকে মারপিট করে শনিবার রাতে আবারও বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়।
ওই রাতেই তারা পাটগ্রাম রেলস্টেশনে আসে। এ সময় স্থানীয় লোকজন সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁদেরকে আটক করে পাটগ্রাম পৌরসভার মেয়রকে খবর দেয়।
পৌর মেয়র তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে সোপর্দ করে।
পাটগ্রাম পৌর মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট বলেন, ‘ পাটগ্রাম রেলস্টেশন থেকে শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ওই দুই রোহিঙ্গা শরনার্থীকে স্থানীয় লোকজন আটক করে আমাকে খবর দেয়। আমি উদ্ধার করে খোঁজ- খবর নিই। পরে পাটগ্রাম থানার ওসির নিকট হস্তান্তর করি।’
পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘আটকৃতরা স্বীকার করেছে তাঁরা রোহিঙ্গা শরনার্থী । তাঁরা অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় বিএসএফের হাতে আটক হয়। বিএসএফ মারপিট করে আবারও বাংলদেশে ঢুকিয়ে দেয়।
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাদেরকে আবারও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
জেএম/রাতদিন