পাটগ্রামে প্রাণের উৎসবে পরিনত ভাওয়াইয়া প্রতিযোগিতার সমাপ্তি

উত্তরের ঐতিহ্য ভাওয়াইয়ার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে আয়োজিত ভাওয়াইয়া প্রতিযোগিতা শেষ হলো। তিনদিনব্যাপি আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শতাধিক প্রতিযোগির অংশগ্রহণ আর প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শ্রোতার উপস্থিতিতে প্রতিযোগিতাটি পরিনত হয় প্রাণের উৎসবে। আজ ছিলো এই প্রাণের উৎসবের শেষ দিন।

বৃহষ্পতিবার, ১৩ মার্চ প্রতিযোগিতার শেষ দিনে ১৬ জন প্রতিযোগির নাম ঘোষণা করা হয়। শীর্ষ এই ১৬ প্রতিযোগির মধ্য থেকে এমাসের শেষদিকে চুড়ান্ত আর একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে।    

রংপুরের গীদালের আখড়া, পাটগ্রাম উপজেলার ধরলা সংগীত নিকেতন ও অম্পুরিয়া এই তিন সংগঠন যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে।

গত বুধবার, ১১ মার্চ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন বাবুল।

প্রতিযোগীতায় পাটগ্রাম উপজেলার প্রায় শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় রাউন্ডে ৬৫ জন ও তৃতীয় পর্যায়ের ফলাফলে ১৬ জন নির্বাচিত হয়।

তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত এই ১৬ জনের মধ্যে চুড়ান্ত প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হবে এ মাসের শেষ সপ্তাহে। ওইদিন বিজয়ীদেরকে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও বিজয়ীরা বাংলাদেশ বেতারে ভাওয়াইয়া গান পরিবেশনের সুযোগ পাবে।

প্রতিযোগীতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ বেতারের গীতিকার, সুরকার ও দোতরা সাধক সত্যেনদ্রনাথ রায়, বাংলাদেশ বেতারের গীতিকার, সুরকার ও ভাওয়াইয়া শিল্পি কল্যান চন্দ্র শীল এবং  বাংলাদেশ বেতারের ভাওয়াইয়া শিল্পি রামপদ রায়।

আয়োজকদের অন্যতম রেজাউল কবির রুজেন বলেন, দেশের অন্য এলাকার আঞ্চলিক গান থাকলেও শুধুমাত্র ভাওয়াইয়া গানের রয়েছে ঐতিহ্য, রয়েছে বিশ্বজনীন পরিচয়। শুধুমাত্র পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা আজ হারাতে রংপুরের নিজস্ব এই সংস্কৃতির ঐতিহ্য ফেরাতে এই প্রতিযোগীতার আয়োজন।

জেএম/রাতদিন