পাটগ্রামে বাল্যবিয়ে: কনের বাবা গেলেন জেলে, মুয়াজ্জিন দিলেন দৌড়

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভায় বাল্যবিবাহের অপরাধে ২ ব্যাক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। অস্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বিয়ে সম্পন্নের দায়ে তার বাবা ও খালুকে এই দন্ডাদেশ দেন আদালত। গ্রেফতার এড়াতে মুয়াজ্জিন দৌড়ে বাড়ি থেকে পালিযে যান।

সোমবার, ২৯ জুন (রোববার দিবাগত) রাত ১ টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করেন পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মেয়ের বাবা বাবলু মিয়া (৫০) ও মেয়ের খালু আব্দার রহমান (৫০)।

আটক কনের বাবা-খালু।

পাটগ্রাম পৌরসভার বানিয়াপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মো: রইছ উদ্দিন বাল্যবিয়ে পড়িয়েছেন এই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মুয়াজ্জিন রইছ বাড়ী থেকে পালিয়ে যান।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,  বাল্যবিয়ে সম্পর্কিত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মশিউর রহমান ও  পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) সুমন কুমার মহন্তের নেতৃত্বে  থানা পুলিশ  ওই বাড়িতে অভিযান চালান।  তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও কনেসহ বাড়ির অন্যান্য লোকজন পালিয়ে যায় ।

পুলিশি অভিযানের আগেই ওই বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই দুজনকে দন্ড দেয়া হয়। অভিযুক্তরা আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার জানিয়েছেন, ‘আটকদের আজ সোমবার লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।’

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  মো. মশিউর রহমান  বলেন, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে দুই জনের ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এবং স্থানীয় এক মসজিদের মুয়াজ্জিন বিয়ে পড়িয়েছেন জানতে পেরে রাতেই তাঁর বাড়িতে অভিযানা চালানো হয়েছে। তাঁকে ধরার জন্য খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’