তীব্র লোডশেডিং এর কারণে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের বাসিন্দারা শনিবার, ১৫ জুন রাতে মহাসড়ক অবরোধ করেন। রাত ৯ টা থেকে রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত তারা লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর মহাসড়কের বাউরা পাবলিক দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গাছের গুড়ি, বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল রেখে অবরোধ করেন।
অবরোধের ফলে বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাক, নৈশকোচসহ লালমনিরহাট থেকে আসা প্রায় চার শতাধিক গাড়ী আটকা পড়ে। ফলে যাত্রী ও যানচালকেরা পড়েন ভোগান্তিতে।
খবর পেয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম ও পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আলী সরকার, বাউরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বসুনিয়া দুলাল ঘটনাস্থলে আসেন।
পরে সমস্যা সমাধানে তার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
বাউরা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসীন্দা নুরুজ্জামান স্বপন ও ব্যবসায়ী সুষ্ময় রায় তরুন বলেন, ‘শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে গেছে বিদ্যুৎ। আর সেই বিদ্যুৎ শনিবার, ১৫ জুন রাতেও আসার কোন খবর নেই। সামান্য ঝড় হলে বিদ্যুৎ ২৪ ঘন্টার বেশী সময় থাকেনা । তাছাড়া যে সময় থাকে সে সময় লো-ভোল্টেজের কারণে বৈদ্যুতিক পাখা চালাতে পারিনা।’
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র মতে, লালমনিরহাট জেলা সদর জাতীয় গ্রিড থেকে ৩৩ কেভির বিদ্যুৎ সালন লাইনের পাটগ্রাম পযন্ত দুরত্ব ৯০ কিলোমিটার। এই সালনের লাইনের খুঁটির ইনসুলেটরগুলো বেশ পুরোনো। এর ফলে বৃষ্টি হলে যেকোনো মূহূর্তে কোন না কোন উপজেলার অংশে সালনরে লাইনের ইনসুলেটর পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া ওই স্থান নির্ধারণ করতে বেশ সময় লাগে। ফলে এ সময় স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
বাউরা ইউনিয়নের বাসীন্দা মিজানুর রহমান বলেন, বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ থাকেনা। বিদ্যুতের চলে যাওয়া আসার খেলা এবং স্বাভাবিক দিনেও বর্তমানে গড়ে ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা এরপর ও লো- ভোল্টেজ । তাই বাধ্য হয়ে আমরা সড়ক অবরোধ করি।
এ দিকে শনিবার রাতে বিদ্যুতের দাবিতে পাটগ্রাম পৌর শহরেও বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুদ্ধ লোকজন। চৌরঙ্গী মোড় ও রেলগেট এলাকার সড়কে টায়ারে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
ঘন্টা তিনেক পর পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিমের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এনএইচ/ রাতদিন