লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় নতুন করে একজন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি পাটগ্রাম উপজেলা মেডিক্যালের চিকিৎসক। এছাড়াও এক ব্যক্তি ঢাকায় করোনা শনাক্ত হওয়ার পর পালিয়ে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার, ১৪ মে রাতে চিকিৎসকের করোনাআক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটগ্রাম উপজেলা মেডিক্যালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার কালী প্রসাদ সরকার। আর পালিয়ে আসা ব্যক্তির বিষয় নিশ্চিত করেছেন ইউএনও মশিউর রহমান।
জানাগেছে, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে পাটগ্রামে আসা এক ব্যক্তি প্রথম করোনা আক্রান্ত হন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য পাটগ্রাম মেডিক্যালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয় । আইসোলেশনে চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন পাটগ্রাম মেডিক্যালের একজন চিকিৎসক। এর কয়েক দিন পর ওই চিকিৎসক অসুস্থ বোধ করলে গত ১২ মে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
ওইদিনই তার নমুনা পরীক্ষা করার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার ১৪ মে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ওই চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার ফলাফল জেলা সিভিল সার্জন অফিসে পাঠান। এতে ওই চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত হয়।
অন্যদিকে এক ব্যক্তি ঢাকায় করোনা শনাক্ত হওয়ার পর পাটগ্রামে পালিয়ে এসেছেন। গত বুধবার, ১৩ মে তিনি সড়কপথে পাটগ্রামে আসেন। তার বাড়ি উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের রহমানপুর ধবলসুতি এলাকায়।
জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ঢাকায় মিরপুর শ্যাওড়াপাড়া এলাকায় থাকতেন এবং একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। অসুস্থ বোধ করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা টেস্ট করান তিনি।
গত ১২ মে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তিনি করোনা পজেটিভ হন। এতে আতংকিত হয়ে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রংপুর পর্যন্ত মাইক্রোবাসযোগে আসার পর ইজিবাইকে পাটগ্রামে আসেন তিনি। বর্তমানে তিনি কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অরুপ পাল জানান , আমাদের একজন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও ঢাকায় এক ব্যক্তি করোনা শনাক্ত হওয়ার পর আতংকিত হয়ে পাটগ্রামে চলে এসেছে। ’
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. মশিউর রহমান দুটি তথ্যই নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পাটগ্রাম মেডিক্যালের একজন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও ঢাকায় করোনা শনাক্ত হওয়া এক ব্যক্তি পাটগ্রামে এসেছে।
জেএম/রাতদিন