পাসের হার বাড়াতে ভূয়া শিক্ষার্থী দিয়ে পরীক্ষা গ্রহন, সুপারের জেল

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ভূয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে জেডিসি পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে এক মাদ্রাসা সুপারের ১ বছরের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মো. মতিয়ার রহমান (৩৮) নামের ওই সুপার নবম শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থীকে দিয়ে পরীক্ষা দেয়াচ্ছিলেন।

মো. মতিয়ার রহমান শতগ্রাম ইউনিয়নের করিমপুর পুলহাট দাখিল মাদ্রাসার সুপার।

মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর বিকাল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ রায় প্রদান করেন।

বীরগঞ্জ থানার এসআই মো. নুরুল হক নাগরগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীকে দিয়ে করিমপুর পুলহাট দাখিল মাদ্রাসার সুপার জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করান। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ামিন হোসেন বীরগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে তিন শিক্ষার্থীকে আটক করেন।

পরে সুপারকে ফোনে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুপার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমানকে জেল ও জরিমানার রায় দেন।

বীরগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মো. আবুল কাশেম জানান, মঙ্গলবার সকালে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ামিন হোসেন কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন। তিনি করিমপুর পুলহাট দাখিল মাদ্রাসা হতে জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী তিন শিক্ষার্থী মো. সাব্বির হোসেন (রোল- ২৪৪৯১৯), মো. রিপন আলী (রোল- ২৪৪৯১৮), মো. হোসাইন ইসলামকে (রোল- ২৪৪৯১৭) জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা সঠিক উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়।

এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সন্দেহ হলে তিনি ওই মাদ্রাসার সুপারকে ডেকে এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ভূয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে ওই তিন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে দেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, পাসের হার বাড়ানোর লক্ষ্যে অন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থী দিয়ে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে ওই সুপারকে দণ্ড দেয়া হয়।

জেএম/রাতদিন