পারিবারিক কলহের জেরে রংপুরের পীরগঞ্জে চাচার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেছে ভাতিজি রেবেকা সুলতানা। শুধু তাই নয়, চাচী ও কলেজ পড়ুয়া চাচাতো বোনকেও একই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের বাজে শিবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
গ্রামবাসী জানায়, ওই গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের সঙ্গে একই গ্রামের রেবেকা সুলতানার দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজি। এরই সূত্র ধরে মোস্তাফিজার রহমানের কলেজ পড়ুয়া কন্যা মুক্তি খাতুনকে জড়িয়ে রেবেকা নানা ধরণের বদনাম ও কুৎসা রটায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৩ আগষ্ট বিকালে মুক্তি খাতুন এর প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে বচসা হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি মুক্তি তার বাবাকে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাতিজি রেবেকাকে থাপ্পড় মারে। এতে ক্ষুব্ধ রেবেকা থানায় গিয়ে চাচা মোস্তাফিজার, চাচী জেসমিন আক্তার ও চাচাতো বোন মুক্তি খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পুলিশ শনিবার রাতে মোস্তাফিজারকে আটক করে।
পরদিন মামলা দায়ের করা হলে তাকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ আগষ্ট সন্ধ্যায় নির্জনতার সুযোগে মোস্তাফিজার বাদীর ঘরে ঢুকে বলপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং মোস্তাফিজারের স্ত্রী জেসমিন ও তার কন্যা মুক্তি তাকে মারপিট করে।
এ ব্যাপারে বাদী রেবেকা মুঠোফোনে চাচা-ভাতিজীর সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ওরা মানুষ ভাল না’।