রংপুরের পীরগঞ্জে যৌতুকের টাকা আদায়ে স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে মারধরের খবর পাওয়া গেছে।। পাষন্ড স্বামী জুয়েল মিয়া (৩৫) তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম মুন্নীর (২৮) কে এভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় নিযার্তন করে। পুলিশ হাত বাঁধা আহত অবস্থায় ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করার পর তাকে পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার, ৬ জুলাই বিকেলে উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের কাজীরপাড়া গ্রাম থেকে আহত বধুকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই জুয়েলের পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের কাজীরপাড়ার মৃত. ডিপটি মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নং ওয়ার্ডের ধর্মদাস মিলনপাড়ার নুরুল ইসলামের মেয়ে নুরুন্নাহার বেগম মুন্নিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর জুয়েলকে মোটা অংকের যৌতুক দিলেও আরও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে মুন্নিকে প্রায়ই মারধর করতো জুয়েল।
একপর্যায়ে আজ সোমবার সকালে মুন্নির স্বামী, ননদ, ভাসুর, চাচী শ্বাশুরীসহ কয়েকজন মুন্নির হাত-পা বেঁধে বেদম মারপিট করে বাড়ীতেই ফেলে রাখে। এ খবর পেয়ে মুন্নির বাবার বাড়ীর লোকজন পীরগঞ্জ থানার পুলিশের সহযোগিতা হাত বাঁধা অবস্থায় মুন্নিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় মুন্নির বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন।
মামলার বাদী নুরুল ইসলাম কান্নজড়িত গলায় জানান, আমরা মুন্নির মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এসে দেখি তাকে হাত-পা বেঁধে বাড়ীর ভিতরে ফেলে রাখা হয়েছে।
এসআই সুশীল রায় জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই গৃহবধুকে হাত বাঁধা অবস্থায় জুয়েলের বাড়ীর ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি (তদন্ত) মাসুমুর রহমান বলেন, ঘটনাটি নির্মম। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেএম/রাতদিন