জাতীয় মান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সষ্টিটিউশন (বিএসটিআই) আবারও ১১টি পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করেছে।
এছাড়াও পণ্যে ভেজালের দায়ে আরও ২ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এদিকে লাইসেন্স না থাকা ৮ পণ্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১১ জুন বিএসইটিআই থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৪০৬টি পণ্যের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় অবশিষ্ট ৯৩টি পণ্যের মান পরীক্ষা করে ২২টির বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হল।
আর এই সবগুলো পণ্যই আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাজার থেকে তুলে নিতে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে যুগান্তর অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোজাকে সামনে রেখে বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে তার মান পরীক্ষা করে বিএসটিআই। গত ১মে প্রথম ধাপে ৩১৩টি পণ্যের মান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে তারা। সেখানে ৫২টি ব্র্যান্ডের পণ্যকে নিম্নমানের বলে ঘোষণা করা হয়। তবে পরে কয়েকটি পণ্য মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বিএসটিআই। এরপর দ্বিতীয় ধাপে বাকি ৯৩টি পণ্যের মান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হল।
লাইন্সেস স্থগিত : যে সব পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে তারমধ্যে অন্যতম হল প্রাণের প্রিমিয়াম ব্রান্ডের ঘি। নরসিংদী থেকে পণ্যটি সংগ্রহ করে ভেজাল পেয়েছে বিএসইটিআই। এছাড়াও প্রথম দফায় ৫২টি পণ্যের মধ্যে প্রাণের তিন পণ্যে ভেজাল পাওয়া যায়। ওই সময়ে পণ্যগুলোর লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এগুলো হল- প্রাণের গুঁড়া হলুদ, কারি পাউডার এবং লাচ্ছা সেমাই।
এছাড়াও দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার আরও যে সব পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে- এর মধ্যে রয়েছে হাসেম ফুডসের কুলসন ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই এবং এসএ সল্টের মুসকান ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের রাঁধুনী ব্র্যান্ডের ধনিয়া গুঁড়া ও জিরার গুঁড়া, চট্টগ্রামের কুইন কাউ ফুড প্রোডাক্টসের গ্রিন মাউন্টেন ব্র্যান্ডের বাটার অয়েল, চট্টগ্রামের কনফিডেন্স সল্টের কনফিডেন্স ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, ঝালকাঠির জে কে ফুড প্রোডাক্টের মদিনা ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই, চাঁদপুরের বিসমিল্লাহ সল্ট ফ্যাক্টরির উট ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ এবং চাঁদপুরের জনতা সল্ট মিলসের নজরুল ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ।
লাইসেন্স বাতিল : যেসব পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, এরমধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রামের থ্রী ফ্লাওয়ার মিলের গুড়া হলুদ এবং এগ্রো অর্গানিক প্রোডাক্টের ঘি।
আরও ৮টি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়ের কোনো লাইসেন্স ছাড়াই পণ্য বাজারজাত করছিল। তাদের নাম প্রকাশ না করে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়োমিত মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই। বিএসটিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “পণ্যগুলোর মানোন্নয়ন করে পুনঃঅনুমোদন ব্যতিরেকে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের পণ্য বিক্রি-বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার হতে বিরত থাকতে হবে।’’
এএইচ/রাতদিন