জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা সর্বসম্মতিক্রমে ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন জানায়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে মঙ্গলবার ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ড ব্যুরোর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে জাতিসংঘে নিযুক্ত মরক্কো ও লিথুয়ানিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ফলে এখন থেকে বাংলাদেশ শিশুদের জন্য বিশেষভাবে নিয়োজিত জাতিসংঘ সংস্থা ইউনিসেফের কর্মকাণ্ডে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা প্রদান করতে পারবে।
এর আগে ২০১৯-২০২১ মেয়াদে বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা সম্প্রতি জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তার পূর্বসূরী রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ২০১৯ সালে ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্বব্যাপী শিশুরা যে সকল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তা মোকাবিলাসহ ২০২০ সালকে ইউনিসেফের জন্য একটি অর্থবহ ও কার্যকর বছরে পরিণত করতে বোর্ড সদস্যগণ সর্বসম্মতিক্রমে তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন সেজন্য ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
শিশুদের কল্যাণ সাধন, উন্নয়ন ও অধিকার সুরক্ষার জন্য এই নির্বাহী বোর্ড নতুন নতুন ধারণা ও কৌশল সৃজনে নিবেদিতভাবে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতির কথা জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
শিশুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে ইউনিসেফ গৃহীত বিভিন্নমুখী পদক্ষেপসমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সেবা গ্রহণকারী দেশসমূহের প্রাধিকার ও প্রয়োজনভিত্তিক কর্মকাণ্ডে ইউনিসেফের সেবা আরও নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করবে বলেও জানান রাবাব ফাতিমা।
জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) নির্বাহী পরিচালক হেনরিএটা ফোর নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার আলোকে ইউনিসেফ আলোকিত হবে। নতুন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে নির্বাহী বোর্ডের দিক-নির্দেশনা ইউনিসেফের কাজকে আরও গতিশীল করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে এক টুইটে রাবাব ফাতিমা বলেন, ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করায় তিনি সম্মানিত হয়েছেন।
সারা বিশ্বের শিশুদের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য ব্যুরো ও বোর্ডের অন্যান্য সদস্য এবং ইউনিসেফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশা করছেন তিনি। (সুত্র: আমাদের সময়)
এসকে/রাতদিন