বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১ লাখ ৬০ হাজারের ওপরে, আক্রান্ত ২৩ লাখ ছাড়ালো

গত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে আরো ৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৬৩ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড-১৯ নামের এই প্রাণঘাতি ভাইরাস। আর আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে ২৩ লাখ ৩১ হাজার ৮৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন, যাদের ৫৫ হাজার ২৮০ জনের অবস্থা গুরুতর। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে মোট ৫ লাখ ৯৭ হাজার ১৯৪ জন বাড়ি ফিরেছেন।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার আজ ১৯ এপ্রিল, রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রাপ্ত এই তথ্য জানিয়েছে।

আগের ২৪ ঘণ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুই হাজারের কাছাকাছি মানুষ মারা গেছেন। এদের নিয়ে দেশটিতে মোট ৩৯ হাজার ১৫ জনের প্রাণ কেড়েছে ভাইরাসটি। এতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৯১৩ জন। যাদের মধ্যে ৬৮ হাজার ২৮৫ জন সুস্থ হয়েছেন।

ইতালিতে এদিন আরো প্রায় ৫শ’ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা সেখানে এখন ২৩ হাজার ২২৭ জন। মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ৯২৭ জন করোনারোগী।

এদিন স্পেনে ছয় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ৬৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৬ জনে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৯৭ জন।

ফ্রান্সেও এদিন প্রায় ছয়শ’র বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ৩২৩ জন। এদিন দেশটিতে আরো প্রায় ৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৩ জনে দাঁড়িয়েছ। এদের মধ্যে ৩৫ হাজার ৯৮৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

জার্মানিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৪ জন। আর ৪ হাজার ৫৩৮ জন এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৮৫ হাজার ৪০০ জার্মান।

যুক্তরাজ্যে একদিনে আরো প্রায় নয়শ’ মানুষের মৃত্যুতে মোট সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ১ লাখ ১৪ হাজার ২১৭ জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেলেও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের তথ্য দেয়নি দেশটি।

এদিকে ভাইরাসটির প্রথম শনাক্তস্থল চীনে মৃতের মোট সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ৮২ হাজার ৭৩৫ জন আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৭ হাজার ৬২ জন।

ইউরোপের অপর দেশ বেলজিয়ামে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানে মোট ৫ হাজার ৪৫৩ জনের প্রাণ কেড়েছে ভাইরাসটি। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৭ হাজার ১৮৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৩৪৮ জন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৬৮ জন। যাদের মধ্যে ৫৫ হাজার ৯৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

তাদের প্রতিবেশী তুরস্কে ১ হাজার ৮৯০ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড-১৯। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৮২ হাজার ৩২৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৪৫৩ জন তুর্কি।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মৃত্যু হয়েছে নেদারল্যান্ডসে। সেখানে মোট ৩ হাজার ৬০১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ব্রাজিলে ২ হাজার ৩৭২ জন, সুইজারল্যান্ডে ১ হাজার ৩৬৮ জন, কানাডায় ১ হাজার ৪৭০ জন, সুইডেনে ১ হাজার ৫১১ জনের প্রাণ কেড়েছে ভাইরাসটি।

আর কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে পর্তুগালে ৬৮৭ জন, মেক্সিকোতে ৬৫০ জন, আয়ারল্যান্ডে ৫৭১ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৫৩৫ জন, ভারতে ৫২১ জন, ইকুয়েডরে ৪৫৬ জন, অস্ট্রিয়ায় ৪৪৩, রোমানিয়ায় ৪২১ জন, ফিলিপাইনে ৩৯৭ জন, আলজেরিয়ায় ৩৬৭ জন, পেরুতে ৩৪৮ জন, পোল্যান্ডে ৩৪৭ জন, ডেনমার্কে ৩৪৬ জন, রাশিয়ায় ৩১৩ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৩৪ জন, মিসরে ২২৪ জন, জাপানে ২২২ জন, ডোমিনিকান রিপাবলিকে ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চীনের উহানে গত ডিসেম্বরের শেষে শনাক্ত হওয়া নভেল করোনাভাইরাসটি ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ১৪৪ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব , রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

জেএম/রাতদিন