লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে আবু ইউনুছ মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা এবং হামলা-ভাংচুরের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আবুল হোসেন ওরফে হোসেন আলীকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার, ৭ নভেম্বর ভোরে রাজধানীল ভাটারা থানার কুড়িল-বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ডিএমপির উপ কমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আবুল হোসেন বুড়িমারী বাজারের ‘হোসেন ডেকোরেটর’ ও ‘হোসেন কসমেটিক্সের’ মালিক। গত ২৯ অক্টোবর আছরের নামাজ শেষে তিনিও প্রথম জুয়েলকে মারধর ও গুজব ছড়ানোর কাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) জানায়, ঘটনার পর দিন থেকেই আত্নগোপনে ছিল আবুল হোসেন। নিজের পরিচয় লুকাতে তার মুখে থাকা দাড়িও কেটে ফেলে সে। আগে গোঁফ না থাকলেও দাড়ি কেটে গোঁফ রেখেছে সে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পরেছে সে।
ডিএমপির উপ কমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন. গোয়েন্দা পুলিশ আবুল হোসেনের ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখছিল। রংপুর থেকে একটি নৈশ কোচে সে ঢাকায় আসছে খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ ওঁৎ পেতে থাকে। শনিবার ভোরে কুড়িল-বিশ্বরোডডে কোচ থেকে নামার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে লালমনিরহাট পাঠানো হবে’।
লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের ওসি ওমর ফারুক জানান, জুয়েল হত্যা এবং পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তারকৃত আবুল হোসেন।
এবি/রাতদিন