থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ব্রিস্টলে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যের ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে মাঠে পানি জমে আছে। বলা হচ্ছে, যদি বৃষ্টি থেমেও যায়, তবুও খেলার জন্য মাঠ প্রস্তুত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে ঠাণ্ডা বাতাসও। এখনও কভারে ঢাকা পিচ ও আশপাশের আউটফিল্ড।
বাংলাদেশ সময় ৫টা ১৫ মিনিটে আম্পায়ারদের মাঠ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল। এরপর খেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় তারা মাঠ পরিদর্শন স্থগিত রেখেছেন।
এর আগেও একবার বৃষ্টি ফিরে আসায় মাঠ পরিদর্শন স্থগিত করেছিলেন আম্পায়াররা। যদিও ঘণ্টা দুয়েক আগে খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এরই মধ্যে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শন করেন। তারা মাঠের কর্মীদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। মঙ্গলবার, ১১ জুন বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
ম্যাচটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগেই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কেউ কেউ হতাশ হয়ে মাঠ ছেড়ে বাড়ির পথ ধরেন।
মাহফুজুর রহমান নামে এক দর্শক বলেন, আমরা চারজন মিলে খেলা দেখতে এসেছি। যারা ব্রিটেনের আবহাওয়ার সঙ্গে পরিচিত, তারা বলছেন- পরিস্থিতি ভালো হবে না। অবস্থা দেখে তাদের কাছে মনে হচ্ছে, খেলা না হওয়ার আশঙ্কা ৭৫ শতাংশ। তাই তারা চলে গেছেন।
তার মতে, এই ধরনের বৃষ্টি সাধারণত থামে না। কারণ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ব্রিটেনের বাস্তবতায় এই ধরনের বৃষ্টি সারাক্ষণ লেগেই থাকে।
সোমবার, ১০ জুন ব্রিস্টলের আবহাওয়া বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্যি হলো।
বেরসিক বৃষ্টি হানা দিল বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা ম্যাচে। ব্রিস্টলের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত টস করতে পারেননি দুদলের অধিনায়ক।
গতকাল পড়ন্ত বিকাল থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। তার পর আর মেলেনি সূর্যের দেখা, ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর কনকনে বাতাসের সঙ্গে মেঘে ঢাকা আকাশ- ঠিক এ অবস্থায়ই পার হয়েছে রাত।
মঙ্গলবার ভোরেও ব্রিস্টলের আকাশে দেখা যায়নি সূর্যের উপস্থিতি। যেখানে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যেই সূর্য উঠে যায়, সেখানে সকাল ৭টা পর্যন্তও আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা।
মঙ্গলবার, ১১ জুন সকাল শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দিয়ে। আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, এ বৃষ্টি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে পারে। এমতাবস্থায় ম্যাচ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
সারাদিন যদি বৃষ্টি হয়, তা হলে পয়েন্ট ভাগাভাগিকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে মেনে নিতে হবে টাইগারদের। কিন্তু সেটি হবে টাইগারদের জন্য ম্যাচ হারার মতোই ব্যাপার। কারণ ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের জন্য আজকের ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই।
সোমবার, ১০ জুন ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, প্রথম ৩ ম্যাচের একটি ভেসে গেলে অত সমস্যা হতো না। তবে এ ম্যাচটা পণ্ড হলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে বাংলাদেশের। আশা করছি, আবহওয়া পূর্বাভাস যাই বলুক-ম্যাচটা যেন হয়।
সোমবারও সাউদাম্পটনে ৪৫ বল গড়ানোর পর বেরসিক বৃষ্টি হানা দেয়। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। এর আগে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় শ্রীলংকা-পাকিস্তান ম্যাচটিও।
তবে কয়েকটি ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়া উপেক্ষা করে ব্যাট-বলের লড়াই উপভোগ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। আজকেও বাংলাদেশের দর্শকরা এমন একটি লড়াইয়ের প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন।
এনএইচ/ রাতদিন