বেরোবি গাইবান্ধা সমিতির ত্রাণ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

গাইবান্ধা জেলার বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের দ্বারে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়(বেরোবি) গাইবান্ধা জেলা সমিতি । গাইবান্ধা জেলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়ে উঠা এই সংগঠন এদিন মানবতার সেবায় জেলার বন্যা কবলিত ৩ শ’ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয় আর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে।

শনিবার, ২৭ জুলাই গাইবান্ধা জেলা সমিতির সভাপতি প্রভাত সাহা বর্ষন ও সাধারণ সম্পাদক এ.কে প্রামানিক পার্থের নেতৃত্বে ১৭ জনের একটি প্রতিনিধিদল এতে অংশগ্রহন করে।

 এদিন প্রায় তিন শতাধিক বন্যাদুর্গত পরিবারকে ত্রাণ সহযোগিতা করা হয়।  ত্রাণের প্যাকেটে ছিল চাল, ডাল, স্যালাইন, চিড়া, মুড়ি,গুড়, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট,খাবার স্যালাইন । এইসময় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাও প্রদান করা হয় । শিশুদের কে পড়াশুনায় উৎসাহিত করার লক্ষে তাদের মাঝে খাতা ও কলম প্রদান করা হয় ।

এই সময় ফুলছড়ি উপজেলার  কোচখালি, মানিকচর, কেটকির হাট, বালাসী ঘাট ইত্যাদি অঞ্চলে  ত্রাণ বিতরণ করে সংগঠনটি।

সমিতির  সভাপতি  প্রভাত সাহা বলেন, ‘আমাদের সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে গঠিত হলেও নিজ জেলার মানুষের এমন দুঃসময়ে পাশে থাকতে পেরে ভাল লাগছে। সংগঠনের সাধারণ

ত্রাণ বিতরণে গাইবান্ধা জেলা সমিতি। ছবি: রাতদিন.নিউজ

ত্রাণ বিতরণে আরও যারা অংশ নেন তারা হলেন, জাহিদ হাসান জীবন, জাকিউল ইসলাম শুভ, সাজেদুল ইসলাম, লুবনা হক মিমি, আব্দুস সামাদ সাগর, শিহাব মন্ডল, জীবন, এরশাদ, রুবেল, সুরাইয়া,সানজিদা মিম, জেসমিন ,নাহিদ, এনামুল, রনি,  রেদোয়ান, শ্যামলী প্রমুখ ।

প্রসংগত, গাইবান্ধা জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে । ৪২৪টি গ্রামে পানিবন্দি রয়েছে জেলার প্রায় ছয় লক্ষাধিক মানুষ। গাইবান্ধা জেলার ১৮টি জায়গায় পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এবং তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ফলে জেলার সিংহভাগ অঞ্চল এখন পানির নিচে। বন্যার পানিতে ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় ছয় লক্ষাধিক মানুষ।