১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ রংপুরের সাধারন জনগন লাঠি বল্লম নিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করে। দীর্ঘ ৫১ বছর পেরুলেও রংপুরবাসীর এই বীরত্বপূর্ণ দিনটি আজও জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পায়নি। তবুও যথাযোগ্য মর্যাদায় রংপুরে এই ঐতিহাসিক ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস পালিত হয়ে আসছে।
বরাবরের মতো এবারেও সোমবার, ২৮ মার্চ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা।
সকাল ১০টায় রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের নেতৃত্বে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ, রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফির নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামীলীগ ও মহানগর যুবলীগের নেতা- কর্মীরা স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পরে ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারি নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দুইদিন পর ১৯৭১সালে ২৮ মার্চ মুক্তিকামি বাঙালিরা বাঁশের লাঠি, তীর-ধনুক নিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করেছিলেন। সেই দিন নিরস্ত্র মুক্তিপাগল বাঙালিরা পাক সেনাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে ছিলেন। জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল পেশার সংগ্রামী মানুষ যার যা আছে তাই নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঘেরাও অভিযানে আহত ও নিহত পরিবার পরিজনের কান্না এখনও থামেনি।
বক্তারা আরও বলেন, প্রতি বছর ২৮ মার্চ এলে কিছু অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে এসব বীর শহীদদের আত্মত্যাগ। তাই ২৮ মার্চ রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন শহীদ পরিবারগুলো।
এসময় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, মহানগর আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য নজমুল ইসলাম ডালিম, রাধাকৃষ্ণপুর ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, বলরাম মহন্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ আমজাদ হোসেনের ছেলে খায়রুল আলম দুখুসহ নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।