মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু ১৭ মার্চ রাত ৮টায়

মুজিববর্ষের উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণ ১৭ মার্চ রাত ৮টা থেকে। টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে সারাদেশ ও বিশ্বের মানুষের কাছে  উপস্থাপন করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠান শেষে এই তথ্য জানান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। 

প্রধান সমন্বয়ক বলেন, রাত আট থেকে ২ ঘণ্টা অনুষ্ঠান চলবে। পুনর্বিন্যস্ত অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ কয়েকটি জায়গা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠান আয়োজনের পর থাকবে আতশবাজি ও তোপধ্বনি।

প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা অনুষ্ঠান করবো। আমরা সেটা সরাসরি সম্প্রচার করবো। দেশের মানুষ যে যে অবস্থানে থাকবেন সেখান থেকে অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত হতে পারবেন। তবে যেহেতু আমরা একটা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি সে কারণে জনসমাবেশ পরিহার করে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান করা হবে। মুজিববর্ষ আয়োজন একটি উৎসব, এই উৎসবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। উৎসব হলেও জনস্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

এর আগে  বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দেশের সব জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের মুজিববর্ষে করণীয়গুলো ব্যাখ্যা করা হয়।  ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদেরও জনসমাবেশ পরিহার করে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান উদযাপন করার নির্দেশ দেন ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। 

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১৭ মার্চ সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ২৬ মার্চ সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় সীমিত উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। তবে কুচকাওয়াজ ও সমাবেশ স্থগিত থাকবে।

ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকরা সীমিত আকারে অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানান প্রধান সমন্বয়ককে।

এবি/রাতদিন