মোদীর জনসভা আবাদি জমিতে, ঠেকাতে তৃণমূলের ক্রিকেট!

ওপার বাংলার জলপাইগুড়িতে নরেন্দ্র মোদী  জনসভা করবেন এটা শোনা যাচ্ছিল বেশকিছু দিন ধরেই।

কিন্তু তা কোথায় হবে সেটা নিয়ে চলেছে নানা গুঞ্জন। তবে শেষ পর্ন্ত জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হচ্ছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সেখানে জনসভা করার কথা রয়েছে মোদীর। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু ব্যানার্জি বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুযারি এমনটিই জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ময়নাগুড়ির চুড়াভান্ডারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থলেই ‘সম্প্রীতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের’ আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে এই জনসভা-ক্রিকেটের আয়োজন সেটি আসলে আবাদি জমি। ধান কাটার পর তা আপাতত পরিত্যক্ত হিসাবে আছে।

আগে থেকেই ওই জায়গায় ক্রিকেট টৃর্নামেন্টের সিদ্ধান্ত হয়েছে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মনোজ রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের আগে খেলার মাধ্যমে এলাকায় একটা ভালো পরিবেশ আনতে চাইছি। জাতীয় সড়কের ধারে আমাদের খেলাটা হবে, যাতে ভালো প্রচার করা যায়’।

‘প্রশাসনের কাছে অনুমতিও নিয়েছি খেলা পরিচালনার জন্য। ওখানে নরেন্দ্র মোদির সভা করার কোনও প্রশ্নই নেই ‘ যোগ করে বলেন ওই তৃণমূল নেতা।

অপরদিকে রাজু ব্যানার্জি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ওই জমিতে সভা করার জন্য জমির মালিকের অনুমতিপত্র পেয়ে গেছি। এটা তো ধানের জমি, কৃষি জমি। মুখ্যমন্ত্রী চাষের জমিতেও ক্রিকেট খেলাবেন। আসলে তৃণমূল বিজেপিকে ভয় পেয়ে গেছে ‘।

তিনি বলেন, ‘চাষের জমিতে যদি তাঁরা ক্রিকেট খেলবেন বলে মনে করে থাকেন, তাহলে পাশের কোনও জমিতে আমরাই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সেখানেই ক্রিকেট খেলুক। আর আমরা এখানে প্রধানমন্ত্রীর সভাটা করি। একজন প্রধানমন্ত্রী আসবেন, সভা করবেন, একটা শিষ্টাচার থাকা দরকার’।

‘আমি তৃণমূলের দাদাদের বিনীত আবেদন করব, মাঠ না পেলে আপনারা আমাদের জানান। আমরা মাঠ বানিয়ে দেব। পিচ করে দেব। ধানের জমিতে তো আর ক্রিকেট হবে না’ বলেন রাজু ব্যানার্জি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে মূলত মোদী তথা বিজেপির জনসভায় কৌশলে বাধা দিতেই তৃণমূল আবাদি জমিতে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেছে।

অথচ জলপাইগুড়ির বিভিন্ন মাঠে জনসভার অনুমতি চেয়েও পায়নি বিজেপি। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তারা জেলা শহর থেকে অনেকটা দূরে ময়নাগুড়ির ওই জমিতে সভার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এবি/০১.০২.১৯