মোরগ উচ্চস্বরে ডাকার কারণে এক মহিলার নামে মামলা করেছেন তার প্রতিবেশী। ঘটনাটি ঘটেছে ফ্রান্সে। প্রতিবেশীর অভিযোগ, মহিস নামের মোরগটি প্রতিদিন ভোরে উচ্চস্বরে ডেকে আশেপাশের লোকজনের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।
মামলাটি ফ্রান্সজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এই মামলাকে ফরাসি গ্রামীণ সংস্কৃতির ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন।
তবে মোরগ ফ্রান্সের অন্যতম জাতীয় প্রতীক। এই মামলার প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয় গত বৃহস্পতিবার। এদিন আদালতের বাইরে মহিসের অনেক সমর্থক উপস্থিত ছিল। তারা সাথে নিয়ে এসেছিলেন অনেক মোরগ-মুরগি। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
ঘটনা ঘটে ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপ ওলেহোঁর হোশফো শহরে। সেখানকার সাঁ-পিয়ে-দোলেহোঁ এলাকার বাসিন্দা কোহিন ফেসুর পোষা মোরগ মহিস। ফেসুর ৪০ প্রতিবেশীর মধ্যে মাত্র দুজন মহিসের ডাক নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
এ নিয়ে স্থানীয় গেজাক গ্রামের মেয়র ব্রুনো দিওনিস দু সেজু এক খোলা চিঠিতে লিখেছেন, ‘গ্রামে গির্জার বেল বাজবে, গরু হাম্বা ডাকবে, গাধারা ডাকবে এই তো ফ্রান্সের ঐতিহ্য। আমি যখন শহরে যাই, তখন তো ট্রাফিক বাতি ও গাড়িঘোড়া সরাতে বলি না।’
ফ্রান্সে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ক্রমে সম্পদের তারতম্য বাড়ছে। সেই সঙ্গে কম মজুরি, বেশি করসহ নানা কারণে জনমনে ক্ষোভও জমছে। এরই জেরে গত নভেম্বরে শুরু হয় ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলন। মহিসও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। মোরগটির নিজস্ব একটা ফেসবুক পেজে দেখা যায়, নভেম্বরের শুরুর দিকে এটি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
এনএইচ/ রাতদিন