দেশের প্রথম সরকারি এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম ব্যাচের তিনটি বিভাগের শিক্ষার্থী নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রোববার, ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর এলাকায় স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল এএইচএম ফজলুল হক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসটি হবে দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা রাজধানী ঢাকার আশকোনায় স্থাপন করা হবে।
লালমনিরহাটে অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি থাকবে আধুনিক বিশ্বের সমতুল্য এমআরও বা মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড রিপেয়ারিং অর্গানাইজেশন অর্থাৎ বিমান মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কারখানা।
উপাচার্য এএইচএম ফজলুল হক বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় আগামী দিনে যে দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শ্রমশক্তি প্রয়োজন তার আলোকে শিক্ষাকার্যক্রম এগিয়ে নেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে বিশ্বের কয়েকটি দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণাকেন্দ্র ইতোমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী এবং যুগোপযোগী উদ্যোগে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি দ্রুতসময়ের মধ্যে বিশ্বের একটি প্রথম সারির অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণাকেন্দ্রে পরিণত হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এয়ার কমডর জাহিদুল সাঈদ।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, চলতি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে মোট তিনটি বিভাগে কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিএসসি এন অ্যারোনিটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইন এভিয়েশন সেফটি অ্যান্ড অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন এবং এমবিএ ইন এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট।
জেএম/রাতদিন