রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে (রমেক) গত ১৩ দিনে ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজন রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকিরা ঢাকা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন।
রমেক পরিচালক ডা. মুলতান আহমেদ জানান, গত ১৯ জুলাই থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ৫টি শিশু রয়েছে। হাসাপাতালটির জন্য ডেঙ্গু শনাক্তের যন্ত্রপাতি দ্রুত কেনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নানা উদ্যোগ নিয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। তবুও আতংক কাটছে না নগরবাসীর।
সিটি মেয়রের একান্ত সহকারী সচিব কাজী জাহিদ হোসেন লুসিড জানান, ২৫ জুলাই থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধনের উপর সর্বোচ্চ জোড় দিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মেয়রসহ সকল কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ সকল বিভাগের সাথে সভা করে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম চলছে। নগরীতে শোভাযাত্রা, ব্যানার, ফেস্টুন সাটানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৪০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ১০টি করে মাইকে চলছে প্রচারণা। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ০৬ জন করে ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ১৯৮ জন শ্রমিক ঝোপঝাড় এবং নর্দমা পরিস্কারের কাজ করছেন।
তিনি জানান, মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে কন্ট্রোলরুমের (০১৭৩৩-৩৯০১৫০) সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন নগরবাসী।
সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘মশক নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক নানাবিধ পরিকল্পনা আমরা করেছি। সেসব মাঠে চলমান আছে। মানুষকে সচেতন করে ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষার করার জন্য কর্পোরেশন অন্যান্য প্রশাসনের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।’
এবি/রাতদিন