শুরু থেকে জাতীয় পার্টির(জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর যেন রংপুরে হয় সেই দাবি উঠেছিল। জাপা চেয়ারম্যান সিএমএইচএ চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকালীন সময়েও তিনি মারা গেলে তার কবর ‘পল্লী নিবাসে’ করার দাবি জানিয়ে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল।
সর্বশেষ আজ সোমবার দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলনেও একই দাবি জানানো হয়। আর বিকালে প্রয়াত এরশাদের দাফন রংপুরে করার জন্য তাঁর পল্লী নিবাসের বাড়ির লিচু বাগানে কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। রাত সাড়ে আটটার দিকে শেষ হয় কবর খোঁড়ার কাজ।
বিকেলে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করেন।
এ সময় সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, আমাদের প্রিয় নেতার মরদেহ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত। আমাদের সঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় জাতীয় পার্টির নেতারা রয়েছেন। তারাও রংপুরে এরশাদের মরদেহ দাফনে একমত। যেকোনো মূল্যে এরশাদের মরদেহ রংপুরে দাফন করা হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীসহ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও পরিবারের সদস্যদের সার্বিক সযোগিতা কামনা করছি আমরা।
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে নগরীর দর্শনা মোড়ে অবস্থিত এরশাদের বাড়ি পল্লী নিবাসে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিকেলে কবর খোঁড়া শুরু করেন সিটি মেয়র। এসময় মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির সহ জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ জানান, কাল জানাজা শেষে এখানেই সমাহিত করা হবে তাদের নেতা এরশাদকে। তাঁরা বলছেন, তাদের প্রিয় নেতা ও রংপুরের সন্তান রংপুরের মাটিতেই শুয়ে থাকবেন।
এইচএ/রাতদিন