লালমনিরহাটে প্রতি তিন বছরে একবার ময়ূর উদ্ধার, জেলাবাসীর মনে কৌতুহল!

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার জাওরানী গ্রাম থেকে আবারও একটি ভারতীয় ময়ূর উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। গত ২০০৮ সাল থেকে এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো জেলায় ময়ূর উদ্ধার করা হলো।

সোমবার, ২৫ মে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে জাওরানী গ্রামের প্রভাষক আব্দুস ছালামের বাড়ির পাশ থেকে ময়ূরটিকে উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ময়ূরটিকে দেখতে পায়। পরে এলাকাবাসীরা ধাওয়া করে ময়ূরটিকে পুকুর পাড় থেকে আটক করে।

২০১৪ সালে উদ্ধার হওয়া ময়ুর। সংগৃহীত ছবি

পরিসংখ্যান বলছে, জেলায় প্রথমবার ময়ূর উদ্ধার করা হয় ২০০৮ সালে। সেবছর ১৬ এপ্রিল তুষভান্ডার রেলস্টেশন এলাকা থেকে একটি ময়ূর উদ্ধার করা হয়। এরপর ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে পাটগ্রামে একটি ময়ূর উদ্ধার করা হয়। ২০০৮ সালে উদ্ধার হওয়া ময়ূরের সংবাদটি দেখতে পারেন এই লিংকে ক্লিক করে

এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আবারও পাটগ্রামের ঘোনাবাড়ী এলাকার শাহীন আলম নামের এক কৃষক একটি ময়ূর উদ্ধার করেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২১ মার্চ হাতীবান্ধার পূর্ব বেজগ্রাম এলাকার ভুট্টাক্ষেত থেকে একটি ময়ূর উদ্ধার করা হয়।

২০১৭ সালে উদ্ধার হওয়া ময়ূর। সংগৃহীত ছবি

ময়ুরগুলো ভারত থেকে এসেছে বলে প্রতিবার ধারনা করা হয়। আর এগুলো প্রতিবছরই মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়। যা নিয়ে জেলাবাসীর মনে একধরনের জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।  

এদিকে ময়ুরটি আটকের পর বিষয়টি হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাকে জানান এলাকাবাসী। 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: এনামুল হক জানান, খবর পেয়ে ওই এলাকায় লোক পাঠানো হয়েছে। ঝড়ের কারণে ময়ূরটি সীমান্তের ওপাড় থেকে বাংলাদেশে চলে আসতে পারে।

জেএম/রাতদিন