লালমনিরহাটে ভালোবাসায় সিক্ত নুরুজ্জামান আহমেদ


‘যেকোন সময় যেকোন প্রয়োজনে আমার দেখা করতে পারেন। আমি জনগনের মানুষ। ইউপি চেয়ারম্যান থেকে জনগনের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার খুশি হয়ে লালমনিরহাট জেলাবাসীকে পুর্ণ মন্ত্রীত্ব উপহার দিয়েছেন’

ছবি : রাতদিন.নিউজ

ছিলেন সমাকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। নিজ কর্মদক্ষতার গুণে প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠা নুরুজ্জামান আহমেদ এবার হয়েছেন পূর্ণ মন্ত্রী। তাই শপথ গহনের পর প্রথমবারের মত নিজ জেলা লালমনিরহাট সফরে এসে সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা এবং ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

ছবি : রাতদিন.নিউজ

রোববার সকালে ঢাকা থেকে প্রথমে আকাশ পথে সৈয়দপুরে। পরে সড়ক পথে লালমনিরহাট সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছান তিনি। সেখানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন মন্ত্রী।

এসময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন। বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করে দেশের উন্নয়নে অংশ নিন। মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। আমি সামাজিক মানুষ। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করবেন না।’ রোববার লালমনিরহাট সার্কিট হাউজ হলরুমে জেলা প্রশাসন, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ছবি : রাতদিন.নিউজ

জেলাবাসীর প্রাণের দাবিগুলো আমার জানা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জেলার সার্বিক উন্নয়নে যা যা করা দরকার সব করা হবে। এসময় লালমনিরহাটকে মডেল জেলা গঠনে জেলা প্রশাসন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকরাসহ সমাজের প্রতিটি মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘যেকোন সময় যেকোন প্রয়োজনে আমার দেখা করতে পারেন। আমি জনগনের মানুষ। ইউপি চেয়ারম্যান থেকে জনগনের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার খুশি হয়ে লালমনিরহাট জেলাবাসীকে পুর্ন মন্ত্রীত্ব উপহার দিয়েছেন।’

বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থেকে কোন উন্নয়ন করেননি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘লালমনিরহাট একটি অবহেলিত ও পশ্চাদপদ জেলা। । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃশ্যমান সকল উন্নয়ন করেছেন। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মহাজোটের পক্ষে মানুষ গণরায় দিয়েছে। এ জন্য জেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

ছবি : রাতদিন.নিউজ

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক, যুগ্ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাদল আশরাফ, জেলা যুবলীগ সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

মহাজোট সরকারের সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসন থেকে নির্বাচিত নুরুজ্জামান আহমদ। এবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহনের পর নিজ জেলায় এটাই প্রথম সফর করলেন তিনি।

তাঁর আগমণে অনেকটাই উৎসুব মূখর হয়ে উঠে লালমনিরহাট। অর্ভ্যাথনা জানাতে সড়ক জুড়ে নানা বাহারি সাজের তোরণ দেখা যায়। সকাল থেকেই কালীগঞ্জ ও আদিতমারীর মানুষ ছুটছিল তাদের প্রিয় নেতাকে দেখতে। অনেকের হাতেই দেখা যায় ফুলের মালা। আর যখনই তিনি এসে পৌঁছলেন, একে একে সেই ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হতে থাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

ছবি : রাতদিন.নিউজ

জানা যায়, রোববার সকালে ঢাকা থেকে প্রথমে আকাশ পথে সৈয়দপুরে আসেন মন্ত্রী। এরপর সড়ক পথে লালমনিরহাট সীমানায় ঢুকে শুরুতেই সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে অসহায় মানুষজনের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন নুরুজ্জামান আহমেদ। সেখান থেকে লালমনিরহাট সার্কিট হাউজ পৌছেন দুপুরে। সেখানে গার্ড অব অনার শেষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।

ছবি : রাতদিন.নিউজ

ওই সভা শেষে আদিতমারীর উপজেলার মানুষজের সাথে মতবিনিময় হয়। সেখানেও ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে। এরপর নিজ বাড়ি জেলার কালীগঞ্জে যান তিনি। বিকেলে কালীগঞ্জের তুষভান্ডার আরএমএমপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে নেতাকর্মী ও সর্বস্থরের জনগণের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন মন্ত্রী। ওই সভায় হাজারও মানুষ তাদের প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার ফুলের মালা পড়িয়ে দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে।

এমআরডি-১৩/০১/২০১৯

মতামত দিন