সরকারী খরচে লালমনিরহাটের ৫০০ শ্রমিক ধান কাটতে যাবেন, প্রথম ধাপে যাচ্ছেন ৪২ জন

লালমনিরহাটের ৪২ জন কৃষি শ্রমিককে প্রথম ধাপে হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলে ধান কাটতে পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। অন্য বছরগুলোতে এসময়ে এ অঞ্চলের অধিকাংশ শ্রমজীবি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান কাটার কাজে গেলেও এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। করোনাভাইরাসের কারণে কোথাও না গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বেশিরভাগ শ্রমিক। তাই এবার প্রশাসনের উদ্যোগে  তালিকা করে শ্রমিকদের কাজে পাঠানোর এই প্রশাসনিক উদ্যোগ।  

বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে সরকারিভাবে গাজীপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন এই ৪২ কৃষি শ্রমিক।

এ সময় শ্রমিকদের হাতে হাতে কৃষি বিভাগের প্রত্যয়নপত্র, উন্নতমানের ফেস মাস্ক, খাবার, জীবাণুনাশক স্প্রে, প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিভিন্ন উপকরণ তুলে দেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মুর্শিদ হকসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্রিফ করা হয় শ্রমিকদের।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস রোধে সরকারি বিধিনিষেধ ও লকডাউনের কারণে কেউ এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারছেন না। এতে করে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আগাম বোরো ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সেখানকার চাষিরা। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ধান কাটার শ্রমিকদের তালিকা করা হয়েছে।

প্রধম ধাপে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে ৪২ জন ধান কাটার শ্রমিককে গাজীপুর ও দক্ষিণ অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। তাদের যাওয়া-আসার সব খরচ জেলা প্রশাসন বহন করবে।

কালীগঞ্জের ইউএনও রবিউল হাসান রাতদিননিউজকে জানান, ধান কাটার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পাঠানো হচ্ছে। শ্রমিকরা যাতে করোনার সংক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকেন, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে সে অনুযাযী পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, এরই মধ্যে পাঁচ শতাধিক কৃষি শ্রমিকের তালিকা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ধান কাটতে পাঠানো হবে।

এনএ/রাতদিন