‘সুপার ব্লাড উলফ মুন’ দেখা যাবে জানুয়ারীতে!

২০১৮ সালটি ছিলো অনেকগুলো মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী। বছর  জুড়েই কখনও ‘‌সুপার ব্ল মুন’‌, কখনও ‘‌ব্ল ব্লাড মুন’‌, সূর্যের বলয়গ্রাস, কী হয়নি!‌ তেমনি আগামী বছরের শুরুতেই ঘটতে যাচ্ছে ২০১৯ সালের প্রথম মহাজাগতিক ঘটনাটি। জানুয়ারির ২০–২১ তারিখ তিনটি  ঘটনা একসঙ্গে ঘটবে যখন রাতের আকাশে চোখ রাখলে দেখতে পাবেন ‘‌সুপার উল্‌ফ ব্লাড মুন’।‌

 ‘‌সুপার ব্লাড উল্‌ফ মুন’‌ আসলে চাঁদের তিনটি পৃথক ঘটনার অদ্ভূত সমন্বয়। যখন পৃথিবী থেকে পূর্ণিমার চাঁদ তার কক্ষপথের সব থেকে নিকটবর্তী স্থানে অবস্থান করে সেটাকে ‘‌সুপার মুন’‌ বলা হয়। জানুয়ারিতে পূর্ণিমা হলে মার্কিনীরা সেটাকে বলে ‘‌ফুল উল্‌ফ মুন’‌। আর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণকে ইওরোপ, আমেরিকার আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় ‘‌ব্লাড মুন’‌। এর অর্থ হল আগামী ২০–২১ জানুয়ারিতে একসঙ্গে এই তিনটি ঘটনা ঘটবে, যখন পৃথিবী থেকে চাঁদ তার কক্ষপথের সব থেকে নিকটতম স্থানে থাকবে এবং পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে।

পুর্ণ চন্দ্র গহণ ও আভা বিচ্ছুরণ। ছবিঃ রয়টার্স

নাসার  এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সুপার ব্লাড উল্‌ফ মুন চলবে মোট তিন ঘণ্টা ১৭ মিনিট ধরে। তার মধ্যে পূর্ণগ্রাসের সময় হবে এক ঘণ্টা দু’‌মিনিট। সাধারণ চন্দ্রগ্রহণের মতোই ‘‌সুপার উল্‌ফ ব্লাড মুন’–এর সময় পৃথিবীর আবহাওয়া মন্ডলে ঢোকার সময় সূর্যালোক প্রতিফলিত হয়ে ছড়িয়ে যায়। এবং সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় যে লালচে আভা আকাশে দেখা যায়, চাঁদের গায়ে সেই লালচে আভাই প্রতিফলিত হয়ে চাঁদকে কিছুটা লালচে দেখায়। গ্রহণের সময় চাঁদের এই রং পরিবর্তন খালি চোখেও দেখা যাবে।


২০১৯–এ এটাই একমাত্র পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। এর পরের পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ২০২১ সালের মে মাসে। এরপর আগামী জুলাইয়ে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ইওরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়া থেকে।

মতামত দিন