সৈয়দপুরে ন্যায্যমূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু, কেউ পেল কেউ ফিরে গেল

আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ন্যায্যমূল্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র খাদ্য পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় খাদ্যপণ্য কম থাকায় অনেকে পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে খালি হাতে ফিরে যান।

আজ বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল সকালে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বর এলাকায় এ বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

সৈয়দপুর উপজেলা সমবায় অফিসার মোহাম্মদ মশিউর রহমান উপস্থিত থেকে এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় টিসিবি’র সৈয়দপুরের ডিলার হাজী ইমতেয়াজসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রমজান উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খাদ্য পণ্য বিক্রির উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। আর এজন্য টিসিবি’র সৈয়দপুরের ডিলার ইমতিয়াজ ট্রেডার্সের অনুকূলে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য ছোলা ৪০০ কেজি, চিনি ৮০০ কেজি, ডাল ৬০০ কেজি, সোয়াবিন তেল ১ হাজার ২০০ লিটার ও পেঁয়াজ ২০০ কেজি বরাদ্দ দেয়া হয়। এ সব পণ্যের মধ্যে চিনি প্রতি কেজি ৫৫টাকা, ডাল প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২০ টাকা এবং ছোলাকেজি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ওই সব প্রতিটি পণ্য জনপ্রতি ২ কেজি করে বিক্রয়ের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে, ন্যায্যমুল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় খবর পেয়ে শহরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ শহীদ স্মৃতি অম্লাণ চত্বরে ভিড় করেন। চলমান বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন খাদ্যপণ্য কেনার জন্য। কিন্তু চাহিদার তুলনায় খাদ্যপণ্য কম থাকায় অল্প সময়ে বরাদ্দকৃত খাদ্য পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে যায়। ফলে অনেকে পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে খালি হাতে ফিরে যান।

সৈয়দপুর প্রেস ক্লাব মার্কেটের লাভলী ফটো হাউজের স্বত্বাধিকারী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন দীর্ঘ সময় লাইনের দাঁড়িয়ে দুই লিটার সয়াবিন তেল ও দুই কেজি চিনি কিনতে পেরেছি।

অপর এক দোকান কর্মচারি মো. আনোয়ার (৪০) জানান, ন্যায্যমূল্যে টিসিবি’র পণ্য কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি। আগামীতে চেষ্টা করবো কিনতে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি সিদ্দিক, গৃহিণী নাসরিন বলেন, টিসিবি’র পণ্য ন্যায্যমূল্যে কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি বেচাকেনা শেষ হয়েছে। পণ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাক সেল কার্যক্রম করার দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে টিসিবি ডিলার হাজী ইমতেয়াজ বলেন, টিসিবি’র দেয়া বরাদ্দের খাদ্যপণ্য প্রথম দফায় যতটুকু পেয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। তাই কয়েক ঘন্টায় সে সব বিক্রি শেষ হয়। পরবর্তীতে বরাদ্দ পেলে আবারও কার্যক্রম শুরু করা হবে।

অপর ডিলার মো. শাকিলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে তার বরাদ্দের পণ্য পেতে পারেন। তখন তিনি ট্রাক সেল কার্যক্রম শুরু করবেন।

জেএম/রাতদিন

মতামত দিন