সৈয়দপুরে শার্প’র উদ্যোগে প্রতিবন্ধী-অসহায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের প্রার্দূভাবে ঘরবন্দি দুই শত প্রতিবন্ধী, অসহায় অতিদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেলফ্ হেলপ অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম-শার্প।

আজ মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল সংস্থার উদ্যোগে সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন বয়সী প্রতিবন্ধী মানুষকে ওই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।

সকালে সৈয়দপুর উপজেলার ৪ নম্বর বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী হাজীপাড়ায় ওই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেলফ হেলপ অ্যান্ড রিহেরিলিটেশন প্রোগ্রাম-শার্প এর নির্বাহী প্রধান আলহাজ্ব মো. মাহবুব-উল আলম এর উদ্বোধন করেন।

এ সময় সংস্থার ক্রেডিট কো-অর্ডিনেটর মো. ফিরোজ আহমেদ, সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ মো. আব্দুল করিম উদ্দিন, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো. শফিকুল আলমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিতরণকৃত এ সব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল ৫ কেজি, আলু ২ কেজি, তেল ১ কেজি, ডাল ১ কেজি, লবন ১ কেজি এবং সাবান ৩টি।

শার্প’র কর্তৃক প্রদত্ত খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার সবুজ সংঘ মাঠ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, আমি নিজে শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। আমার তিন ছেলে শিশুও শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার পরও কারো করুণা নয়, শারীরিক শক্তি সামর্থ্য অনুযায়ী শহরে এক নিকটাত্মীয়ের বস্তার দোকানে কাজ করি। কিন্তু এখন সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।এ অবস্থায় গত পনের দিনেরও বেশি সময় পরিবার পরিজন নিয়ে মহা সংকটে পড়েছি। আজ এনজিও শার্প কিছু খাদ্য সামগ্রী আমার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। আমার মতো একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির এই সংকটময় মুর্হূতে এ সহায়তা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। যা দিয়ে অন্ততঃ ২/৩ হলেও এক বেলা খেয়ে পড়ে বাঁচবো। তিনি শার্প সংস্থার নির্বাহী প্রধানসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করেন।

এনজিও শার্প’র নির্বাহী প্রধান আলহাজ্ব মো.মাহবুব-উল-আলম বলেন,বর্তমানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষ ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ চরম সংকটে দিনযাপন করছেন। তারা লোকলজ্জায় কারো কাছে খাদ্য সহায়তার জন্য যেতে পারছেন না। আর যে সব পরিবারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছে তাদের অবস্থা আরো করুণ। এ অবস্থায় আমরা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় জন্য এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ গ্রহন করেছি।

জেএম/রাতদিন