হাতীবান্ধার আহাদ তিস্তায় নিঃস্ব-নিঃসঙ্গ, ঠাঁই রাস্তায়

ঘর, সংসার, আবাদি জমি-একসময় সবই ছিল। এখন আর কিছুই নেই। সব কেড়ে নিয়েছে তিস্তা। সেই নিঃস্ব মানুষটিকে আবার নিঃসঙ্গ করেছে স্ত্রী-সন্তান। ‘কিছুই নাই’ তাই তারাও ছেড়ে চলে গেছেন অনেক আগেই। তার ঠাঁই এখন সরকারি রাস্তার পাশে, ছোট্ট একটি চালাঘরে। অন্যের দয়ায় চাল-ডাল কিছু মিললে নিজেই রাঁধেন। নয়তো অনাহরে-অর্ধাহারে পরে থাকেন সেই ঝুঁপড়ি ঘরে।

তিনি আহাদ আলী। বয়স প্রায় ৪৮ বছর। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত আব্দুল কাদেরের ছেলে তিনি। বর্তমানে তিনি একাই থাকেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রাস্তায়।

তিনি জানান, একটা সময় সবই ছিলো। এখন আর নিজের বলতে কিছুই নেই। আগে চর ধুবনীতে ছিলেন। আট বছর আগে তিস্তার গ্রাসে নিঃস্ব হয়ে পড়েন তিনি। পরে স্ত্রী-সন্তানেরাও তাকে ছেড়ে চলে যান। কোন উপায় না পেয়ে সেসময় বোনের বাড়িতে ঠাঁই নেন। কিন্তু সেখানেও বেশিদিন থাকতে পারেননি। পরে রাস্তার উপর একটি ছোট চালা ঘর পাতেন। আগে তালা ঠিক করে পেট চালাতেন। এখন সোজ বন্ধ। অন্য কিছু করতেও পারেন না। বর্তমানে অন্যের কাছে হাত পেতে সংসার চলে।

আহাদ আলী বলেন, ‘মোর কিছুই নাই। রাস্তাত থাকোং। কেউ কোনো খোঁজ নেয় না। উল্টা মোর চালাটা ভাঙ্গি দিবার চায়’।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘরের কথা শুনেছেন তিনি। তাই তিনিও সরকারের কাছে একটি স্থায়ী আবাসের দাবি জানিয়েছেন।

এইচএ/রাতদিন

মতামত দিন