সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা সদ্যপ্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ রংপুরে নেওয়া হচ্ছে। এখানে তার চতুর্থ নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে।
মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পুরাতন বিমানবন্দর থেকে এরশাদের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার রংপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
বাদ-জোহর রংপুর ঈদগাহ মাঠে এরশাদের চতুর্থ জানাজা শেষে তার মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে ফের ঢাকায় নেয়া হবে। বাদ-আসর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করার কথা রয়েছে।
এরশাদের মরদেহবাহী কফিনের সঙ্গে রয়েছেন তার ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
এদিকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ দফা জানাযার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ। সেখানে প্যান্ডেল তৈরির পাশাপাশি লাগানো হয়েছে অনেকগুলো মাইক।
অন্যদিকে শুরু থেকে জাতীয় পার্টির(জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর যেন রংপুরে হয় সেই দাবি উঠেছিল। জাপা চেয়ারম্যান সিএমএইচএ চিকিৎসাধীন থাকালীনও তিনি মারা গেলে তার কবর ‘পল্লী নিবাসে’ করার দাবি জানিয়ে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি জানিয়েছিল জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
সেজন্য মঙ্গলবার জানাজা শেষে এখানেই সমাহিত করা হবে তাদের নেতা এরশাদকে। তাঁরা বলছেন, তাদের প্রিয় নেতা ও রংপুরের সন্তান রংপুরের মাটিতেই শুয়ে থাকবেন। এজন্য কবরও খোড়া হয়েছে।
জেএম/রাতদিন