প্রিয়া আমার নাম উল্লেখ করে বিভ্রান্তিমূলক ও নীতি গর্হিত বক্তব্য দিয়েছেন : ড. বারকাত

অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত বলেছেন, প্রিয়া সাহা কখনও আমার সহ-গবেষক, গবেষণা সহযোগী অথবা গবেষণা সহকারী ছিলেন না। প্রিয়া সাহা তথ্য-উপাত্ত বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন জানিয়ে এমন বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন ওই অর্থনীতিবিদ।

সোমবার, ২২ জুলাই এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত এ দাবি করেন।

বিবৃতি তিনি বলেন, প্রিয়া সাহা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পত্র-পত্রিকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেশত্যাগ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমার নাম উল্লেখ করে কিছু তথ্য-উপাত্ত বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে।

ড. আবুল বারকাত আরও বলেন, ‘প্রিয়া সাহা কখনও আমার সহ-গবেষক, গবেষণা সহযোগী অথবা গবেষণা সহকারী ছিলেন না। ২০১১ সালে সরকারি আদমশুমারি তথ্যের ভিত্তিতে ১৯০১-২০০১ সাল পর্যন্ত ধর্মগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার উল্লেখ করেছি মাত্র। একজন সমাজ গবেষক হিসেবে আমি নিশ্চিত হতে চাই যে, প্রিয়া সাহা আমার নাম উল্লেখ করে যেসব বিভ্রান্তিমূলক ও নীতি গর্হিত বক্তব্য দিয়েছেন তিনি অতি দ্রুত তা প্রত্যাহার করে নেবেন।’

‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু নিখোঁজ রয়েছেন। এরপর ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি আমার নাম উল্লেখ করে বলেছেন, উল্লেখিত পরিসংখ্যান আমার গবেষণাদ্ভূত তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে মিলে যায় (অথবা একই)। তিনি এও বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৬৩২ জন লোক হারিয়ে যাচ্ছে। ২০১১ সালে স্যারের সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছিলাম, যার কারণে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত।’

ড. আবুল বারকাত বলেন, প্রিয়া সাহার উপরোক্ত বক্তব্যের সঙ্গে আমার গবেষণার তথ্য-উপাত্তের কোনো মিল নেই।

আমার গবেষণায় যা আছে, তা হলো- আমার হিসাবে প্রায় ৫ দশকে ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আনুমানিক ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বি মানুষ নিরুদিষ্ট হয়েছেন। (উৎস: আবুল বারকাত বাংলাদেশে কৃষি ভূমি জলা সংস্কারের রাজনৈতিক অর্থনীতি-২০১৬)। অর্থাৎ, আমি কোথাও ৩ কোটি ৩৭ লাখ সংখ্যালঘু নিখোঁজ রয়েছেন আমি বলিনি। উপরন্তু তিনি কোথাও বললেন না, আমার গবেষণা তথ্যটির সময়কাল ৫০ বছর (১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল)।

এইচএ/রাতদিন