করোনা আক্রান্ত ছেলের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাবনার ঈশ্বরদীর একটি পরিবার। গোপনে হওয়া বিয়ের এই ঘটনা জানাজানি হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ওই বাড়িটি লকডাউন করে দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।
এলাকাবাসী জানায়, ঈদুল ফিতরের আগের দিন ঈশ্বরদী শহরের শেরশাহ রোডের ফকিরের বটতলা এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রী আশরাফ হোসেন চুনি গোপনে তার মেয়েকে বিয়ে দেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ষোলদাগ গ্রামের রাসেল নামে এক যুবকের সঙ্গে।
প্রতিবেশী সোহান জানান, রাসেল ঢাকায় ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়েই গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারার ষোলদাগ গ্রামে আসেন। ১ সপ্তাহ আগে তার নমুনা জমা দেন পরিক্ষার জন্য। এরই মধ্যে ঈদের আগের দিন গত রোববার তিনি ঈশ্বরদী শহরের ওই বাড়িতে গোপনে বিয়ে করেন।
ঈশ্বরদীর ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন জানান, ওই যুবক বিয়ের পর নতুন বউকে তার ভেড়ামারার বাড়িতে নিয়ে ৪ দিন অবস্থান করেন। ঈশ্বরদী থেকে মেয়ের বাড়িতেও বেড়াতে যান নববধূর পরিবারের লোকজন।
এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে রাসেলের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। রিপোর্ট আসার পরপরই বিষয়টি ভেড়ামারা ও ঈশ্বরদী শহরে জানাজানি হলে এলাকায় আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ শহরের ওই বাড়িটি শুক্রবার রাতেই লকডাউন করে দেয়।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, ওই বাড়ি থেকে কাউকে বাহিরে বের না হতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়ির সকল সদস্যদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
জেএম/রাতদিন