রংপুরে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন লিমন রহমানের ওপর পুলিশী হামলার ঘটনায় ১১ দিনেও দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে সাংবাদিকদের মাঝে। ফলে মাঠে নেমেছে সাংবাদিকরা।
আজ রোববার, ২৯ নভেম্বর সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ) রংপুরের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে রংপুর প্রেসক্লাব, রিপোর্টাস্ ক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, রিপোর্টাস্ ইউনিটি, টিসিএ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, রংপুর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, তাজহাট প্রেসক্লাব, মাহিগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়।
কর্মসূচী চলাকালে টিসিএ’র সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সুমনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক শাহ্ বায়েজিদ আহমেদ, সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল, আফতাব হোসেন, নজরুল ইসলাম রাজু, সরকার মাজহারুল মান্নান, কৃষক সংগ্রাম পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ, মাহিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবলু নাগ, রংপুর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আদর রহমান, টিসিএ’র সভাপতি শাহ্ নেওয়াজ জনি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মানবিক পুলিশিংয়ের বুলি আওড়ানো মেট্রোপুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রহস্যজনকভাবে নীরব রয়েছেন। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংবাদকর্মীরা এখন নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছেন।
তারা আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচী পালন করে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছি। এরপরেও যদি মেট্রোপুলিশের কর্মকর্তারা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তবে সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলন দিলে, জনদূর্ভোগ তৈরী হলে এর দায়ভার মেট্রোপুলিশকেই নিতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচী শেষে টিসিএ’র নেতৃবৃন্দরা রংপুরের সকল সাংবাদিকদের নিয়ে জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘবদ্ধভাবে ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্য প্রকাশ্যে রাস্তায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন টিসিএ’র সদস্য লিমন রহমানকে পিটিয়ে ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করে।
এবি/রাতদিন