রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানার বাঘের খাঁচাটি এখন শূন্য। খাাঁচায় থাকার চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনীটি মারা গেছে। মৃত্যুর সময় এর বয়স হয়েছিল ১৮ বছর ৭ মাস।
শনিবার. ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একমাত্র বাঘিনীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী তালুকদার বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাঘিনীটি মারা যায়। মূলত বার্ধক্যের কারণে প্রাণীটি মারা গেছে।
তবে অনেকেই মনে করছেন, মাঘের শীত আর বৃষ্টিতে বয়স্ক বেঙ্গল টাইগারটি অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচা এখন শূন্য রয়েছে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, খাঁচায় একটি মাত্র বাঘিনী ছিল। এই বাঘিনীকে শাওন নামে ডাকা হতো। ২০১০ সালে রংপুর চিড়িয়াখানায় শাওনকে আনা হয়। এটির জন্ম ২০০৩ সালের ৩০ জুন। বয়স হয়েছিল ১৮ বছর ৭ মাস। মৃত্যুর আগে কোনো রোগে আক্রান্ত ছিল না।
চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী বলেন, বেঙ্গল টাইগারটির বয়স বেশি হয়েছিল। বাঘ সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে। সে অনুযায়ী বার্ধক্যের কারণে বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতেই ময়নাতদন্ত শেষে চিড়িয়াখানাতেই পরিবেশ সম্মতভাবে মাটিতে পোঁতা হয়েছে শাওনকে।
প্রসঙ্গত, দেশে দুটি সরকারি চিড়িয়াখানার মধ্যে রংপুরে একটি। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকায় ১৯৮৯ সালে রংপুর চিড়িয়াখানাটি গড়ে ওঠে। এটি দর্শনার্থীদের জন্য ১৯৯২ সালে খুলে দেওয়া হয়।
প্রায় ২২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটিতে ৩৩ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে সিংহ, বাঘ, জলহস্তী, হরিণ, অজগর সাপ, ইমু পাখি, উটপাখি, বানর, কেশওয়ারি, গাধা, ঘোড়া, ভাল্লুক উল্লেখযোগ্য।