লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশল অফিস শুরুর ৪৫ মিনিটে দেখা মিলেছে মাত্র একজনের। ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাকী ৭ জনই ছিলেন অনুপস্থিত।
রোববার, ২৬ জানুয়ারি সকালে নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন আকস্মিক পরিদর্শনে এসে এই চিত্র দেখতে পান।
জানা গেছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশল অফিসে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়ে আসছে। প্রকাশিত সংবাদের আলোকে তদন্ত করতে আজ সকালে হাতীবান্ধা অফিসে হঠাৎ পরিদর্শনে আসেন তিনি ।
সকাল ৯.১৫ মিনিটে অফিসে এসে তিনি দেখতে পান, পিয়ন অনিল চন্দ্র কেবল অফিস খুলছেন। যদিও ন’টার আগেই অফিস খোলার কথা। সকাল ৯.৪৫ মিনিট পর্যন্ত অফিসে অবস্থান করলেও ৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে কোনো কর্মকর্তা- কর্মচারী অফিসে আসেনি।
সকাল ৯.৪৫ মিনিটে তিনি যাবার প্রাক্কালে আজমিরা রহমান ও কদম আলী নামে দুই জন কর্মচারী অফিসে আসনে।
লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন বলেন, হাতীবান্ধা অফিসে নানা সমস্যা রয়েছে। ইতোমধ্যে ওই অফিসের প্রধান উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তদন্ত শেষে বাকিদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।