স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন, এর পাশাপাশি বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় ও সর্বাধিক ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড। স্মার্টফোন বাজারের তিন চতুর্থাংশই এই ওএসের দখলে।
আর প্রায়শই ব্যবহারকারীরা নানা ধরনের ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হন। আজকে এ নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা ।
আক্রান্ত কিনা যেভাবে বুঝবেন:
অ্যান্ড্রয়েডে ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যারের আক্রমণ হলে সাধারণ কিছু বিষয় ঘটে থাকে। যেমন : বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হওয়া, ফোন স্লো হয়ে যাওয়া, অযাচিত অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল হওয়া, দ্রুত চার্জ চলে যাওয়া ইত্যাদি।
আক্রান্ত হলে যা করবেন:
ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয়ে গেলে তা সরানোর বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে।
- ফোনের সেটিংস থেকে ইন্সটলড অ্যাপ অপশনে গিয়ে দেখতে হবে অযাচিত কোন অ্যাপ লিস্টে আছে কিনা। থাকলে তা আন ইনস্টল করে দিতে হবে।
- আন ইনস্টল করার অপশনটি কাজ না করলে সেটিংস থেকে ডিভাইস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অপশনে গিয়ে ‘অ্যাডমিন এক্সেস’ অপশনটি বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর পুনরায় ইনস্টলড অ্যাপ অপশনে গিয়ে অযাচিত অ্যাপ আন ইনস্টল করে দিতে হবে।
- কোন ব্রাউজার আক্রান্ত হলে ব্রাউজারটি আন ইনস্টল করে পুনরায় ইনস্টল করতে হবে।
এসব পদ্ধতিতে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। এই পদ্ধতিতে সমাধান না হলে ফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট করে নিতে হবে। এই পদ্ধতিতে ফোনে রক্ষিত সকল ডেটা মুছে যাবে।
অনেক ক্ষেত্রে ফোন রিসেট করার পরেও ম্যালওয়্যার থেকে যায়, তখন ফোনে নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা ছাড়া উপায় থাকে না। এই কাজটি ব্র্যান্ড ও মডেল বিশেষে নিজেও করা যায় কিংবা অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার থেকে সারিয়ে নেয়া যায়।
আক্রমণ থেকে বাচার উপায়:
কিছু সতকর্তা অবলম্বন করলে সহজেই ম্যালওয়্যারের আক্রমন থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
প্লে স্টোর ব্যতীত অন্য কোন মাধ্যম থেকে অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টলের মাধ্যমেই মূলত অ্যান্ড্রয়েডে ম্যালওয়্যার আক্রমণ করে। তাই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা যেতে পারে।
- সকল অ্যাপ্লিকেশন প্লেস্টোর থেকে ইনস্টল করা।
- থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন স্টোর কিংবা অন্য কারো ফোন থেকে শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে অ্যাপ ইনস্টল থেকে বিরত থাকা।
- সিকিউরিটি আপডেটসহ অন্যান্য সকল আপডেট ইনস্টল করা।
- ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় চটকদার কোন বিজ্ঞাপন এড়িয়ে চলা।
- অযাচিত কোন লিংকে ক্লিক না করা।
জেএম/রাতদিন