কুড়িগ্রামের জেলা প্রসাশক সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন ” গভীর রাতে বাসায় গিয়ে সাংবাদিক আটক এবং রাতেই আদালত বসিয়ে জেলে পাঠানোর ঘটনায় জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার এবং বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে”।
এর আগে আজ রোববার, ১৫ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে আরিফুল ইসলামকে জামিন দেন আদালত।
তিনি এখন কুড়িগ্রামের সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরিফুল ইসলামের সাথে থাকা একজন সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানাচ্ছেন, মি. ইসলামের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে বাড়িতে ঢুকে স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট এক বছরের কারাদণ্ড দেয়।
মাদক বিরোধী টাস্কফোর্সের অভিযানের কথা বলা হলেও শুক্রবার রাতের ওই অভিযানে একমাত্র সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম ছাড়া আর কাউকে আটক করা বা সাজা দেয়া হয়নি।
আরিফুল ইসলামের সহকর্মীরা বলছেন, জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের অনিয়মের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার কারণে প্রতিশোধমূলকভাবে ধরে এনে সাজানো মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে।
তবে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সংবাদ করার কারণে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে এখানে কোন ঘটনা ঘটেনি। সুত্র: বিবিসি বাংলা।