নীলফামারীর জলঢাকায় চলমান পিইসি ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় ৮০জন প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে দায়িত্বরত কর্মকর্তা । আটককৃতরা চিড়াভিজা গোলনা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিভিন্ন মাদ্রাসার হয়ে ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আসছিল।
কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বুধবার, ২০ নভেম্বর চতুর্থ দিনের পিইসি সাধারণ বিজ্ঞান ও ইবতেদায়ী আরবী বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার্থীদের বয়স দেখে সন্দেহ হওয়ায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাদের প্রবেশপত্র যাচা্ই করেন। কৌশলে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে করতে এক পর্যায়ে সত্য ঘটনা উদঘাটন হয়ে আসে । তারা প্রকৃত পরীক্ষার্থী নয় প্রক্সি। পর্যায়ক্রমে ৮০জনকে সনাক্ত করতে সক্ষম হন । এসময় নয়জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। আটককৃতরা বিভিন্ন মাদ্রাসার হয়ে পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে আসছিল।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় ১৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আট হাজার২৯০ জন ও ইবতেদায়ী সমাপনীতে এক হাজার ৪৬৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এবং চিড়াভিজা গোলনা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০টি মাদ্রাসা ও ১৮টি স্কুলের মোট পরীক্ষার্থী ৬৯৯জন। এর মধ্যে কেন্দ্রটিতে ১০টি মাদ্রাসা হতে ১৬২জন পরীক্ষায় অংশ করে আসছিল ।
এ বিষয়ে চিড়াভিজা গোলনা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আল হাসান জায়েদ নওরোজী বলেন, ‘তারা বিভিন্ন মাদ্রাসার হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। তাদেরকে বহিস্কার করা হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘প্রথম দিন হতেই তাদের দেখে সন্দেহ হয়। প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল। গোপনে তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েই তাদেরকে আটক করা হয়। এরা অনেকেই মেধাবী উপর ক্লাসের শিক্ষার্থী । পরে তাদেরকে মানবিক বিবেচনায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে । এবং নোট দিব । এমন অপরাধে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’
এনএইচ/রাতদিন